বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিকে শৃঙ্খলমুক্ত করেছেন, দিয়েছেন মুক্তি ও স্বাধীনতা। সত্যিকার অর্থে বঙ্গবন্ধুই বাংলাদেশ। সারা পৃথিবী বাংলাদেশকে চেনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে, বাংলাদেশের জন্মদাতা পিতার নামে। তাই আগামী এক বছরের জন্য ‘মুজিবস বাংলাদেশ’ পর্যটন ব্র্যান্ডিং স্লোগান নির্বাচন সার্থক। এ ব্র্যান্ড নেইমের অনুমোদন দেওয়ায় আমরা প্রধানমন্ত্রীর নিকট কৃতজ্ঞ।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পর্যটন ভবনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ‘মুজিবস বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বিশ্বের সকল মুক্তিকামী মানুষের মুক্তির আলোকবর্তিকা। এই ভাষণের পর সমগ্র জাতি প্রতিষ্ঠিত সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় পরিচালিত হয়েছে। বিশ্বের ইতিহাসে এ দৃষ্টান্ত বিরল। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের পর স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এদেশ থেকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনাকে মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে। বর্তমানে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে আবার বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর কাঙ্ক্ষিত সোনার বাংলায় রূপান্তরের কাজ করছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের সংবিধানে যে অধিকারের নিশ্চয়তা দিয়েছেন তা বাস্তবায়ন করছেন। 

মাহবুব আলী বলেন, বাঙালি জাতি যতবার ঐক্যবদ্ধ হয়েছে ততবার বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। আমরা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে বঙ্গবন্ধুর কাঙ্ক্ষিত উন্নত বাংলাদেশ গড়ার জন্য কাজ করব, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এ আমাদের প্রতিজ্ঞা।

মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে অনেকেই বাঙালির জাগরণের চেষ্টা করেছেন। শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই সফল হয়েছেন এই জাতিকে জাগিয়ে তুলতে, স্বাধীনতা এনে দিতে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে শ্রেণি-ধর্ম নির্বিশেষে দেশের সকল মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন ইউনেস্কো নির্বাহী কমিটিতে বাংলাদেশের প্রতিনিধি তারিক সুজাত এবং বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ।

এআর/এসকেডি