বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে আলোকিত জাতি গঠনে সকলকে আত্মনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, অনেক সফলতা অর্জনের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি। স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক ও অবৈতনিক করেছিলেন, যা তার সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গির ফসল। তিনি বিশ্বাস করতেন, শিক্ষাক্ষেত্রে বিনিয়োগ সর্বোত্তম বিনিয়োগ। 

বুধবার (২২ ডিসেম্বর) ক্যাম্পেইন ফর পপুলার এডুকেশন (ক্যাম্পি), ঢাকা আহসানিয়া মিশন এবং সিএসও অ্যালায়েন্সের উদ্যোগে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষাকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অবৈতনিক করেছিলেন। আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগেই নারী-পুরুষ সমতা ও ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের শিক্ষা নিয়ে তিনি অত্যন্ত সচেতন ছিলেন। ছত্রিশ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দেড় লাখ শিক্ষকের চাকরি তিনি জাতীয়করণ করেছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে অর্থনৈতিক কাঠামো শক্ত না হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষাকে তিনি প্রাধান্য দিয়েছিলেন। জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়নের জন্য তিনি কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন গঠন করেছিলেন।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ প্রণয়ন করেছে। প্রাথমিক শিক্ষা, শিক্ষাক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা অর্জন ইত্যাদি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে। দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে কারিগরি শিক্ষার ওপর সরকার যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছে। নারী ও শিশুদের ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা হলেও সরকার তা বিবেচনা করছে, যা বাহাত্তরের সংবিধানে জাতির পিতা অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। 

স্পিকার বলেন, বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ নেওয়ায় সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষার সুযোগ অবারিত করা হয়েছে। পিছিয়ে পড়া অঞ্চলে ঊনত্রিশ লাখ শিক্ষার্থীর খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যা আরও বৃহৎ আকারে পরিচালনার পরিকল্পনা সরকার করছে।

ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমেদের সভাপতিত্বে এবং রাশেদা কে চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরমা দত্ত, চ্যানেল আইয়ের হেড অফ নিউজ শাইখ সিরাজ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। 

ড. মঞ্জুর আহমেদ, কাজী ফারুক আহমেদ, মনসুর আহমেদ চৌধুরী, খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম অনুষ্ঠানে গেস্ট স্পিকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

এইউএ/আইএসএইচ