প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশি এয়ারলাইন্স ইউএস-বাংলার ফ্লাইট শুরুর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। 

তিনি বলেন, আমাদের রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সও ঢাকা-মালের মধ্যে ফ্লাইট চালু করার কথা ভাবছে। আমরা আশা করি, সরাসরি ফ্লাইটের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে যোগাযোগ এবং পর্যটন সহযোগিতার আদান-প্রদান বৃদ্ধি পাবে। আমরা একটি সরাসরি শিপিং লাইন স্থাপনের সম্ভাবনাও পর্যালোচনা করছি।

বৃহস্পতিবার মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সংলাপ শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও সংযোগ উন্নয়নে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও সংযোগ উন্নয়নের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট সলিহের সঙ্গে বিশদ আলোচনা করেছি। 

প্রেসিডেন্ট সলিহের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনাকালে শেখ হাসিনা দুই দেশের মধ্যে একটি অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) এবং পারস্পরিক বিনিয়োগ সুবিধার জন্য একটি দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ সুরক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার ওপর পুনরায় জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সুযোগ থাকা সত্ত্বেও, আমরা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনাকে এখনো পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারিনি।’

প্রধানমন্ত্রী জানান, সংলাপে তারা দুই দেশের মধ্যে বিশেষ করে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, মানবসম্পদ উন্নয়ন, যুব ও ক্রীড়া, মৎস্য ও কৃষি খাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করতে সম্মত হয়েছেন। পাশাপাশি তারা জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের দ্রুত মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে একসঙ্গে কাজ করতেও সম্মত হয়েছেন।

যেহেতু নিজেদের জনগণের কল্যাণ অন্যতম অগ্রাধিকার, সেহেতু কনস্যুলার এবং কমিউনিটির সমস্যাগুলো আলোচনায় বিশেষভাবে প্রাধান্য পেয়েছে বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। মালদ্বীপে অনথিভুক্ত বাংলাদেশি নাগরিকদের নিয়মিতকরণের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতির উন্নতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার মালদ্বীপের নাগরিকদের জন্য আগমনের পর ভিসা ব্যবস্থা (অন অ্যারাইভাল ভিসা) চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আরএইচ/জেএস