আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, এটাই বড় পরিচয়
বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানই নিজের বড় পরিচয় উল্লেখ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, মেয়র নয়, ব্যারিস্টার নয়, আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান- এটাই আমার বড় পরিচয়।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর শহীদ মতিউর পার্কে ডিএনসিসি আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদেরকে প্রাপ্য সম্মান ফিরিয়ে দিয়েছেন। একজন মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হলে তাকে জাতীয় পতাকা বেষ্টিত করে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এটা অন্য কেউ পেতে পারে না। একমাত্র একজন মুক্তিযোদ্ধাই পেতে পারে। অন্য কেউ নন জাতীয় পতাকা একমাত্র মুক্তিযোদ্ধারই প্রাপ্য।
বিজ্ঞাপন
এ সময় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নগর ভবনের দরজা সব সময়ের জন্য খোলা থাকবে বলে দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস জানান।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় মাত্র ২১ বছর। অন্যান্য দল ২৯ বছর ক্ষমতায় ছিল। তারা কতটুকু উন্নয়ন করতে পেরেছে? আজকে শেখ হাসিনা জেগে থাকেন বলেই, আমরা শান্তিতে ঘুমাতে পারি। বঙ্গবন্ধু নেই, কিন্তু তিনি আমাদের মধ্যেই আছেন।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলেই আমরা শান্তিতে ঘুমাতে পারব, দুই বেলা ঠিক মতো খেতে পারব। আওয়ামী লীগের বাইরে যারা ২৯ বছর দেশের ক্ষমতায় ছিলেন, তারা কিন্তু দেশের জন্য কাজ করেন নাই। অন্তর দিয়ে শেখ হাসিনার মতো দেশের জন্য কাজ করেন নাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তো ২৪ ঘণ্টাই দেশ ও মানুষের কথা ভাবেন। অথচ যারা অন্য সময় ক্ষমতায় ছিলেন, তারা আব্দুল আলীমকে মন্ত্রী বানিয়েছেন। তারা রাজাকারের গাড়িতে পতাকা দিয়েছে।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য আরও বলেন, আমাদের জন্ম তারিখ একটাই। একটা জন্ম তারিখ বলেই আমরা মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাই, রেশন কার্ড পাই, গাড়ির লাইসেন্স পাই। আর যদি তিন-চারটা জন্ম তারিখ হয়, তাহলে কেমন হবে? একজন যিনি রাজনৈতিক নেতৃত্বে দেন, তার জন্ম তারিখ ঠিক থাকে না।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ঢাকা-২ আসনের সংসদ সদস্য কামরুল ইসলাম, ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, সংসদ সদস্যদের মধ্যে ঢাকা-৪ আসনের সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, ঢাকা-৫ আসনের মনিরুল ইসলাম মনু, ঢাকা-৬ আসনের কাজী ফিরোজ রশীদ, ঢাকা-৭ আসনের হাজী সেলিম, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য জিন্নাতুল বাকিয়া এবং ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কণ্ঠশিল্পী রফিকুল ইসলাম ও দিনাত জাহান মুন্নী সংগীত পরিবেশন এবং নৃত্যশিল্পী সাদিয়া ইসলাম মৌ নৃত্য প্রদর্শন করেন। এছাড়া স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীদের সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়।
এএসএস/এইচকে