প্রবাসীদের জন্য সুরক্ষা আইনসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ। সংগঠন‌টি অবিলম্বে বিমানের টিকেটের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছে।

রোবব‌ার (২৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানায় প্রবাসী অধিকার পরিষদ।

প্রবাসী অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি মো. কবীর হোসেন বলেন, কর্মসংস্থানের অপ্রতুলতায়, জীবন ও জীবিকার তাগিদে উচ্চশিক্ষা ও উন্নত জীবনযাপনের লক্ষ্যে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি নাগরিক তাদের শ্রম ও মেধাকে কাজে লাগিয়ে উপার্জিত বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক অর্থ বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে। তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ বিমানসহ অন্যান্য দেশীয় উড়োজাহাজ সংস্থার টিকিটের দাম অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় বিদেশে কর্মস্থলে যেতে সমস্যায় পড়ছেন হাজার হাজার প্রবাসী কর্মী। টিকিটের দামের এমন লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি অভিবাসীদের জন্য এক মহাসংকট এবং দেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত নেতিবাচক। এতে অভিবাসন ব্যয় অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সমাবেশে বক্তারা বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কাছে মধ্যপ্রাচ্যগামী বাংলাদেশ বিমানসহ অন্যান্য দেশীয় উড়োজাহাজ সংস্থার টিকিটের বাড়তি দাম কমানোর পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে ফ্লাইট বৃদ্ধি এবং উড়োজাহাজ সংস্থার টিকিটের অতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে রেগুলেটরি বোর্ড গঠনের দাবি জানান।

ক‌বির হো‌সেন বলেন, নাগরিক হিসেবে সবার অধিকারের পূর্ণ প্রাপ্যতা থাকলেও প্রকৃত অর্থে প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকেরা তাদের ন্যায্য নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, নাগরিক অধিকার, স্বার্থ সংরক্ষণ, প্রাপ্য অধিকার আদায়, সংরক্ষণ, ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। তাছাড়া প্রবাসীদের পরিবারের নিরাপত্তা, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ সব ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করাও সরকারের দায়িত্ব।

প্রবাসী অধিকার পরিষদের ১০ দাবি—

১) প্রবাসে মারা যাওয়া বাংলাদেশিদের মরদেহ রাষ্ট্রীয় খরচে দেশে নিয়ে আসা।

২) প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করা।

৩) বিমানবন্দরে প্রবাসী হয়রানি বন্ধ করা।

৪) প্রবাসীদের জন্য যুগপোযোগেী দ্বৈত নাগরিকত্ব আইন ও পেনশন সুবিধা প্রদান।

৫) পাসপোর্ট সংশোধনের সুযোগসহ দালালমুক্ত পাসপোর্ট ও দূতাবাস নিশ্চিত করা।

৭) জাতীয় বাজেটে প্রবাসীদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখা।

৮) বিদেশে কাগজপত্র বিহীন প্রবাসীদের বৈধ করতে সরকারি সহায়তা।

৯) বিদেশে প্রবাসীদের জন্য পর্যাপ্ত বাংলাদেশি দূতাবাস ও শ্রম কল্যাণ উইং গঠন ও অভিবাসন ব্যয় এক লাখ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা।

১০) প্রবাস ফেরতদের কর্মসংস্থান, সুদমুক্ত পর্যাপ্ত ঋণ সুবিধা প্রদান।

এনআই/এসএসএইচ