ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে পটকা বা আতশবাজি ফোটানোর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাত বারোটার আগে থেকেই শহরের প্রায় প্রত্যেকটি এলাকাতে আতশবাজি ফুটিয়ে থার্টি ফার্স্ট নাইট পালন করা হচ্ছে। 

শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে গুলশান-২ নম্বর চত্বরে তিনি যখন নিরাপত্তা ব্রিফিং করছিলেন তখনও আশপাশের এলাকায় বিকট শব্দে শত শত আতশবাজি ফুটতে শোনা যায়।

এ বিষয়ে মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, আতশবাজি থামানোর বিষয় না। হাত দিয়ে আটকে রাখা যায় না। আতশবাজি না ফোটাতে কালকে আমি অনুরোধ করেছি, দয়া করে আতশবাজি ফোটাবেন না। আতশবাজি ফোটায় একেবারে টিনেজ ছেলে মেয়েরা। বাড়িতে গিয়ে দেখেন, আপনার ছোট ভাই দুইটা আতশবাজি কিনে ফোটাচ্ছে। এত বেশি বিধি-নিষেধ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করাটাও ডিফিকাল্ট। আমরা ঘরে ঘরে গিয়ে নিষেধ করতে পারবনা। নগরবাসীকে অনুরোধ করেছিলাম বয়স্ক মানুষ অসুস্থ মানুষের কথা বিবেচনা করে এটি সীমিত রাখবেন। আমি আশা করব যারা এই আতশবাজি ফোটাচ্ছে তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আজকে অনিরাপত্তার কিছু নেই। রাস্তায় সাংবাদিক ও পুলিশ ছাড়া কেউ নেই। সব জায়গায় নিরাপত্তা আছে কোথাও কোনো সমস্যা নেই। 

তিনি বলেন, মানুষ বাড়িতেই তার পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দ উদযাপন করছে। তাদের সামনের বছর ভালো কাটুক এ দোয়া করি। পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে আরেকটু ব্যাটার নগর, নিরাপদ নগর, মানুষ যেন আরও স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে সামনে বছরটি কাটাতে পারে। কোভিডের এ অভিশাপ থেকে যেন আমরা মুক্ত হতে পারি। উন্নয়নের যে প্রকল্পগুলো চলছে সেগুলো কমপ্লিট হলে ট্রাফিক নিয়ে মানুষ যে বিড়ম্বনায় আছে কিছুটা সুরাহা হবে বলে আমরা আশা করছি।

সবসময় চেষ্টা করি মানুষের পাশে থাকার জন্য। মানুষকে ভালোবেসে তার বিপদের দিনে পাশে থাকার জন্য আমরা চেষ্টা করি। সামনের দিনেও তা অব্যাহত থাকবে। আমরা নগরবাসীর সহযোগিতা চাই সহমর্মিতা চাই। তাদের সঙ্গে নিয়ে আমরা একটি নিরাপদ নগর গড়ে তুলতে চাই।

থার্টি ফার্স্টের বিধিনিষেধের কারণে যানজট তৈরির বিষয়ে কমিশনার বলেন, যানজট হবে এ আশঙ্কা থেকেই আমরা ৮টার ভিতরে গুলশান, বারিধারা, বনানীসহ বেশ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দাদের ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছিলাম। আজকে ছুটির দিন বাইরে কাজ কাজ থাকার কথা নয়। আটটার মধ্যে ফিরে আসার সব রাস্তায় খোলা ছিল। এত বেশি রাস্তা চেক করে নিয়ন্ত্রণ করাটা আমাদের জন্য বেস্ট ডিফিকাল্ট হয়ে যায়।

আপনারা জানেন কোভিড সিচুয়েশন চলছে, আমাদের নিজেদের নিরাপত্তার টাও দেখতে হয়। আমার ফোর্সের নিরাপত্তাও দেখতে হয়। সব জায়গায় চেকপোস্ট বসিয়ে চেক করাটা এ সিচুয়েশনে বুদ্ধিমানের কাজ হবে বলে আমি মনে করিনা।

এমএসি/আইএসএইচ