রাজধানীর বাংলামোটরে রাহাত টাওয়ারে আগুনের সূত্রপাত এসি বা ইলেট্রনিক সরঞ্জাম থেকে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস। 

আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুর সাড়ে ১২টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন্স) জিল্লুর রহমান।

জিল্লুর রহমান বলেন, আমাদের ধারণা এসি বা ইলেট্রনিক সরঞ্জাম থেকে আগুন লাগতে পারে। আমরা যমুনা টিভির কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা এসি থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেছেন। তবে আগুনের প্রকৃত কারণ তদন্ত ছাড়া সঠিকভাবে বলা যাবে না। আর কোনো ফ্লোরে আগুন ছড়াবে না বলে আশা করছি।

অতিরিক্ত ধোঁয়ার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভবনে বর্তমানে আগুনের ফ্লেইম বা শিখা না থাকলেও ভেতরে থাকা বিভিন্ন দাহ্য পদার্থের উপস্থিতির কারণে এখনও ধোঁয়া বের হচ্ছে।

ভবনের ভেতরে কেউ আটকা নেই বলে যমুনা টেলিভিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, আগুন সম্পূর্ণ নিভে যাওয়ার পর আমরা প্রত্যেকটি রুম সার্চ করে দেখব।

বেলা ১১টার দিকে রাহাত টাওয়ারে আগুনের খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে যায় ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।  

আগুনটি লেগেছিল রাহাত টাওয়ারের ১১তলায়। সেখানে বেসরকারি টিভি চ্যানেলের যমুনা টিভির একটি সাব অফিস ছিল। আগুনে তাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। 

যমুনা টিভির সিনিয়র রিপোর্টার মনিরুল ইসলাম বলেন, সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে আমরা প্রথমে সিলিংয়ে ধোঁয়া দেখতে পাই। ধোঁয়া দেখার পর ভবনে থাকা অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা দিয়ে প্রথমে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। কিন্তু আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় আমরা ১১টা ৩ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসে ফোন দেই। 

তিনি আরও বলেন, আমরা তখন ভেতরে ১৫ জন কাজ করছিলাম। আমাদের ক্যামেরাসহ বহু জিনিস ছিল। আমরা প্রথমে সেগুলো নিয়ে নামার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ধোঁয়া বেশি থাকায় আমাদের দম বন্ধ হয়ে আসছিল। পরে আমরা ক্যামেরাসহ সকল মূলবান জিনিস ফেলে রেখে চলে এসেছি। আগুনটি মূলত আমাদের অফিস যে ফ্লোরে অর্থাৎ ১১ নাম্বার ফ্লোর থেকে সূত্রপাত ঘটে। আমাদের সকল মালামাল পুড়ে গেছে। ভবনের ৮ তলায় বিজয় টিভির অফিস ছিল। আমরা নামার সময় বিজয় টিভির লোকজন সহ বাকি যেসব অফিসে লোকজন ছিল তাদের সঙ্গে নিয়ে নিচে নামি। আগুনের শুরু সারা ভবন ধোয়ায় অন্ধকার হয়ে যায়। তবে কাউকে হতাহত হতে দেখেনি।

এমএসি/এআর/এনএফ