সংগঠনের শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির আহ্বায়ক প্রফেসর আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকারের সদস্যপদ স্থগিত করেছে সমিতিটি।

শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) তোপখানা রোড়ের নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত এক সভা শেষে এ ঘোষণা দেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সদস্য সচিব মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী।

ঘোষণায় খবির চৌধুরী বলেন, আহ্বায়ক কমিটির সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর ২২ ডিসেম্বর পাঠানো এক চিঠিতে মার্চের শেষ সপ্তাহে সমিতির নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ও ভোটার তালিকা হালনাগাদকরণ কার্যক্রম শুরুর কথা জানানো হয়। কিন্তু ওই চিঠির ১ দিন পর আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার কমিটির কাউকে না জানিয়ে এককভাবে এ বছর জানুয়ারির ৭ তারিখে জরুরি সাধারণ সভা আহ্বান করেন। সেখানে তিনি নির্বাচনের ভিন্ন তারিখ ঘোষণা করেন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকের চুক্তির প্রেক্ষিতে গঠিত ৯ সদস্যের নির্বাচন কমিশন বহাল থাকা সত্ত্বেও অবৈধভাবে একক উদ্যোগে ভিন্ন নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন।

তিনি বলেন, অবৈধ ও এখতিয়ার বহির্ভূত জরুরি সাধারণ সভা আহ্বানের জন্য গত ৩০ ডিসেম্বর সংগঠনের সদস্য সচিব আহ্বায়ক কমিটির ১৫ জন সদস্যের স্বাক্ষরসহ আহ্বায়ক প্রফেসর আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকারের বিরুদ্ধে আইনগত ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু এরপরেও তিনি তার ঘোষণা মতো সাধারণ সভা বাতিল করেননি। এছাড়া এমন কাজ তিনি এর আগে ২০১১ সালেও করেছেন। তাই তিনি নিঃসন্দেহে সমিতির স্বার্থের পরিপন্থী কাজ করেছেন। একই সঙ্গে সমিতির সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল পদে থেকে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাধারণ সদস্যদের বিভ্রান্ত করেছেন। যা পুরোপুরি সংগঠনের শৃঙ্খলা বিরোধী। এজন্য তাই গঠনতন্ত্রের ১৩ ধারা মতে আজকের সভায় উপস্থিত সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির আহ্বায়ক প্রফেসর আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকারের সদস্যপদ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আহ্বায়ক কমিটি বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি প্রফেসর ড. শেখ মো. রেজাউল করিম, প্রফেসর খান রফিকুল ইসলাম, প্রফেসর মনিরা বেগম, মাসুদা বেগম, সৈয়দ মইনুল হাসান, মো. কামালউদ্দিন, এ এস এম এমদাদুল কবির, মো. মনির হোসেন, সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ হোসাইন, মো. মোমিনুল হক প্রমুখ।

এমএইচএন/আইএসএইচ