কোনো কৃষক পুষ্টিসমৃদ্ধ ধানের আবাদ করলে তাকে জামানত ছাড়াই ৬০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নাসিরুজ্জামান। 

শনিবার (৮ জানুয়ারি) বণিক বার্তা আয়োজিত ‘বায়োফর্টিফায়েড জিংকসমৃদ্ধ ব্রি ধানের বাজার সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন গেইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. রুদাবা খন্দকার, সঞ্চালনায় ছিলেন বণিক বার্তা সম্পাদক ও প্রকাশক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বিজনেস ইন্টেলিজেন্সের প্রধান নির্বাহী শাকিব কোরেশী।

কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ থেকে ভুটানসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ জিংকসমৃদ্ধ চাল নিতে চায়। কিন্তু আমরা সেটি দিতে পারছি না। তাই ধানের জাত উদ্ভাবনের পর জনপ্রিয় করতে ১৫ থেকে ১৬ বছর সময় লাগে সেটি কমিয়ে আনতে হবে।

তিনি বলেন, আবার ধানের নাম সংখ্যাগতভাবে না দিয়ে অন্য কোনোভাবে দিয়ে জনপ্রিয় করা যায় কি না সেটি ভাবতে হবে। বিশেষ করে ব্রি ধান৭৪ ও ৮৪ জাত অধিক পুষ্টিসমৃদ্ধ। এই জাত জিংক চাল নামে জনপ্রিয় করা যায় কি না দেখা যেতে পারে। কোনো কৃষক যদি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধানের আবাদ করতে চান তাহলে বিনা জামানতে ৬০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর বলেন, দেশের সব ধানের জাতেই কম বেশি জিংক রয়েছে। তবে ব্রি ধান৭৪ এবং ব্রিধান৮৪ জাত দুটি জনপ্রিয় করা সম্ভব হলে দেশের মানুষের জিংকের ঘাটতি অনেকাংশেই পূরণ করা সম্ভব। এজন্য একটি অ্যাকশন প্ল্যান ও সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে অগ্রসর হতে হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. নাজমা শাহীন, হারভেস্ট প্লাসের কান্ট্রি ম্যানেজার ড. খায়রুল বাশার। 

আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি বিপণন অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুল ওয়াদুদ, খাদ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক এ কে এম নুরুল আফসার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) সাবেক মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আযাদ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, নাবিল গ্রুপের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা অনুপ কুমার সাহা, প্রাণ গ্রুপের বঙ্গ মিলারস লিমিটেড নির্বাহী পরিচালক নাসের আহমেদ।

এসআর/এসকেডি