প্রায় ২২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আলোচিত মো. মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (৯ জানুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে মামলাটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ শফিউল্লাহ। শিগগিরই সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী মামলাটি দায়ের করেন।

অনুসন্ধান প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে গোল্ডেন মনিরের অবৈধ সম্পদের খোঁজে মাঠে নামে দুদক। তার সম্পদ অনুসন্ধান কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয় উপপরিচালক সামছুল আলমকে। এরপর উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম ও উপপরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরীকে। অনুসন্ধানের স্বার্থে ওই বছরের ২৬ নভেম্বর গোল্ডেন মনির ও তার স্ত্রী রওশন আক্তারের নামে/বেনামে থাকা সম্পদের হিসাব দাখিলের নোটিশ দেয় দুদক। এরপর মো. মনির হোসেন ২০২১ সালের ২ মার্চ সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। আর গোল্ডেন মনিরের স্ত্রী রওশন আক্তার ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারিতে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গোল্ডেন মনির তার সম্পদ বিবরণীতে ২০০৯ সালের জুন থেকে ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত ৫৫ কোটি ৭৭ লাখ ৯৮ হাজার ২০১ টাকার সম্পদের তথ্য দেন। দুদকের অনুসন্ধানে ৩৩ কোটি ৯৫ লাখ ২৪ হাজার ৭৪২ টাকার অর্জনের উৎস পাওয়া গেলেও ২১ কোটি ৮২ লাখ ৭৩ হাজার ৪৫৯ টাকার সম্পদ অর্জনের উৎস পাওয়া যায়নি। এসব অর্থ তিনি অবৈধভাবে অর্জন করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে। অনুমোদন করা মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

প্রতিবেদনে একই সঙ্গে গোল্ডেন মনিরের স্ত্রী রওশন আক্তারের সম্পদ অনুসন্ধানের সুপারিশ করেছেন দুদক কর্মকর্তা।

এর আগে, গত ৪ জানুয়ারি বাড্ডার ডিআইটি প্রকল্পের প্লটসহ বিভিন্ন জমি আত্মসাতের চেষ্টা ও নথি গায়েবের অভিযোগে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ছয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গোল্ডেন মনিরসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই মামলার আসামিরা হলেন- রাজউকের উপ-পরিচালক মো. দিদারুল আলম, অবসরপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন শরীফ, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. আনোয়ার হোসেন, ঊর্ধ্বতন হিসাব সহকারী এস এম তৌহিদুল ইসলাম, কার্য তদারককারী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন সরকার ও রাজউক অফিস সহায়ক মো. পারভেজ চৌধুরী। অটো কার সিলেকশনের মালিক মো. মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনির এবং জমির দালাল সিরাজগঞ্জের মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও নারায়ণগঞ্জের মো. নাসির উদ্দিন খান।

আরএম/ওএফ