কয়েকদিনের ব্যবধানে দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হার একদিনে ২ হাজার ছাড়িয়েছে। একইসঙ্গে বিশ্বজুড়ে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। সবদিক বিবেচনায় করোনার বিস্তার রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সরকার ১১ দফা নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হার ক্রমবর্ধমান হারে বাড়তে থাকায় উন্মুক্ত স্থানে সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সমাবেশ পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে। 

এছাড়া প্রজ্ঞাপনে আরও ১০ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

সোমবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সিনিয়র সহকারী সচিব সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। 

এতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) এর নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব ও দেশে এ রোগের সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ১৩ জানুয়ারি ২০২২ তারিখ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সার্বিক কাৰ্যাবলি/চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো।

কোনো এলাকার ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে সেক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিতে পারবে বলেও এতে বলা হয়। 

করোনার সবশেষ পরিস্থিতি

সোমবার জানানো হয়েছে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ২৩১ জন। শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৫৩ শতাংশে। করোনায় এ পর্যন্ত দেশে ২৮ হাজার ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে; শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৯৫ হাজার ৯৩১ জনে। 

একইসঙ্গে দেশে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ জনে। করোনা সংক্রমণেরহার বৃদ্ধির পেছনে ওমিক্রনের প্রভাব থাকতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এসএইচএস/এসএম/জেএস