ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এবং করোনার উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। দুই সপ্তাহ ধরে রোগী ভর্তির এ বাড়তি হার দেখা যাচ্ছে। উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তির সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।

সোমবার (১০ জানুয়ারি) হাসপাতালের করোনা ইউনিটসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে এবং চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

করোনা পজিটিভ হয়ে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন চাঁদপুরের ওযুফা বেগম (৫৬)। তার ছেলে হাবিব ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমার মা পিজিতে (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) ভর্তি হয়েছিলেন অপারেশনের জন্য। গতকাল মায়ের করোনা পজিটিভ জানার পর আজ মাকে এখানে ভর্তি করেছি। গতকাল অপারেশন করার কথা থাকলেও করোনা পজিটিভ হওয়ায় তা করা হয়নি।’

করোনার উপসর্গ নিয়ে কেরাণীগঞ্জ থেকে এসেছেন সালমা বেগম। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমি এক সপ্তাহ ধরে শ্বাসকষ্ট নিয়ে একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় আজ ঢামেক হাসপাতালে এসেছি।’

ঢামেক হাসপাতাল-২ এর ডিউটি অফিসার ডা. এনামুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘গতকাল (রোববার) আমরা ২২ জনকে ভর্তি করেছি। আজ সকাল থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ছয়জন ভর্তি হয়েছেন। দুই সপ্তাহ আগে এত রোগী ছিল না। দুই সপ্তাহ ধরে রোগীর চাপ বেড়েছে।’

ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আগের চেয়ে করোনা রোগী বেড়েছে। ১০ দিন আগে আমাদের রোগীর সংখ্যা ছিল ১৬৭ জন। বর্তমানে ২৩০ জন রোগী ভর্তি আছেন। যাদের মধ্যে ৪৭ জন করোনা পজিটিভ আর উপসর্গ রয়েছে ১৮৩ জনের।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা উপসর্গ থাকা রোগী রাখতে চাই না। হয় পজিটিভ অথবা নেগেটিভ রোগী রাখতে চাই। উপসর্গ থাকা রোগীদের দরকার হলে দুইবার করোনা টেস্ট করব। আগে আমাদের একটি ফ্লোরে রোগী রাখতাম। এখন দুটি ফ্লোরে (৮০১-৮০২, ৯০১-৯০২) করোনা রোগী রাখছি।

এসএএ/ওএফ/জেএস