নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ ও অসাধু ব্যবসায়ীদের সব সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেওয়াসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য।

বুধবার (১২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়।

তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে- রাজপথে আন্দোলনরত সব রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে; জাতীয় সরকার গঠিত হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীন করতে হবে; কৃষকদের কৃষিকার্ডের মাধ্যমে সার, বীজ, কিটনাশক, ডিজেলসহ সব কৃষি উপকরণ ন্যায্যমূল্যে দিতে হবে ও কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য দিতে হবে এবং শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা নিশ্চিত করতে হবে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ৩০ লাখ শহীদের রক্ত ২ লাখ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের প্রাণের চেয়ে প্রিয় মাতৃভূমি বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে। মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য 'সাম্য মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার' বিগত পঞ্চাশ বছর ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছাকৃত উদাসীনতায় বিবর্ণ হয়ে গেছে। গণতন্ত্রের টুঁটি চেপে ধরে একচেটিয়া ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে, সংবিধানকে পাশ কাটিয়ে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ও নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। জনগণের রাষ্ট্রীয় সম্পদ পরিবারতন্ত্র দলবাজির মাধ্যমে লুণ্ঠন করে বিদেশে পাচার করেছে। বাংলাদেশকে গভীর সংকটে ফেলে দিয়েছে, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব আজ হুমকির মুখে। আসুন, ঐক্যবদ্ধ হই। রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠনকারী ও সংবিধান ধ্বংসকারীদের রুখে দেই, রাজপথে আন্দোলন গড়ে তুলি।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক হারুন আল রশিদ খান, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক হারুন চৌধুরী, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শামসুল আলম, সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালম আজাদ প্রমুখ।

এমএইচএন/জেডএস