স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ব্যতিক্রম এক আনন্দ-উৎসব করেছে চট্টগ্রামের একটি গার্মেন্টস কারখানা। গার্মেন্টসের প্রায় দুই হাজার শ্রমিককে সাথে নিয়ে সুর-ছন্দের মেলবন্ধনে চট্টগ্রামের ইন্ডিপেন্ডেন্ট অ্যাপারেলসে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই আনন্দ-উৎসব।

দেশের গান, মুক্তিযুদ্ধের গান এবং স্বাধীনতার গানসহ নানা আয়োজন করা হয় উৎসবে। ছিল আকর্ষণীয় ফ্যাশন শাে। আর এসব কিছু করেছেন গার্মেন্টসটির শ্রমিকেরা নিজেরাই। 

লাল-সবুজ শাড়ি পরে দারুণ ফ্যাশন শো উপহার দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করেছিলেন গার্মেন্টস কন্যারা। সাথে ছিল খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন। ব্যতিক্রমী এমন আয়োজন করা হয় বুধবার ( ১২ জানুয়ারি) নাসিরাবাদ শিল্প এলাকার ইন্ডিপেন্ডেন্ট অ্যাপারেলস নামের পোশাক তৈরির প্রতিষ্ঠানে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর ব্যতিক্রম এমন আয়োজন চলেছে দিনভর। 

শ্রমিকদের নিয়ে আনন্দ-উৎসব সম্পর্কে ইন্ডিপেন্ডেন্ট অ্যাপারেলস গার্মেন্টস মালিক এস এম আবু তৈয়ব ঢাকা পোস্টকে বলেন, স্বাধীনতার সুর্বণজয়ন্তী উদযাপনের জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলাম। যেখানে শুধুমাত্র কারখানার শ্রমিকরা অংশ নিয়ে ছিলেন।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এসে আমাদের যেসব অর্জন, তার মধ্যে পোশাক শিল্পের অর্জন চোখে পড়ার মতো। বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে পোশাক শিল্প তো এই অবস্থানে আসতো না। আর দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতির জন্য পোশাক শিল্পের সাথে জড়িত শ্রমিকরাই বেশি অবদান রাখেন। তাদের মধ্যে আরও সচেতনতা ও দেশপ্রেম সৃষ্টির পাশাপাশি উৎসাহ-উদ্দীপনা দেওয়ার জন্যই এই আয়োজন। আমি চাই, আমার কারখানার সকলে দেশকে আরও বেশি ভালোবাসুক। শ্রমিকদের যত বেশি সিরিয়াস হয়ে কাজ করবে দেশ তত এগিয়ে যাবে।

কারখানা সূত্রে জানা গেছে, আনন্দ উৎসবটি সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য কাজের ফাঁকে ফাঁকে ১৫ দিন ধরে প্রস্তুতি নিয়েছেন শ্রমিকরা। কারখানার দুই হাজারের মতো শ্রমিক নেচে-গেয়ে সামিল হয়েছিলেন উৎসবে। কারখানার প্রত্যেক শাখার জন্য ছিল ভিন্ন ভিন্ন পোশাক। আনন্দ-উৎসব উপলক্ষে সাজসজ্জার আয়োজনও ছিল। লাল-সবুজ কাপড়ের সামিয়ানা টাঙিয়ে বানানো হয় প্যান্ডেল। এমন আয়োজনে সামিল হতে পেরে খুশি গার্মেন্টস শিল্পের সাথে জড়িত শ্রমিকরাও। 

কর্মীরা বলছেন, আমদের মালিকের পক্ষ থেকে আমাদের জন্য যে আনন্দ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে, তাতে অংশ নিতে পেরে খুশি। এর আগে মেয়ের বিয়েতেও শ্রমিকদের জন্য ব্যতিক্রম আয়োজন করেছিলেন কারখানা মালিক। উৎসবে কারখানার মালিক এস এম আবু তৈয়ব সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন। বিদেশ থেকে দেশে আসা মালিক-কন্যা সাইকা এবং তার স্বামী নিলয়ও যোগ দিয়েছিলেন এই আনন্দ-আয়োজনে।

কেএম/এইচকে