বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে বিদ্যমান আইনের সংশোধনীর প্রস্তাব করা হয়েছে। 

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) একাদশ জাতীয় সংসদের ষোড়শ অধিবেশনে এ সংক্রান্ত ১৯৭২ সালের আইন সংশোধনে ‘বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০২২’ উত্থাপন করা হয়।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বিলটি সংসদে উত্থাপন করলে তা এক মাসের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। 

বিলে পর্যটন করপোরেশনের অনুমোদিত মূলধন ১৫ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। এছাড়া পরিশোধিত মূলধন পাঁচ লাখ থেকে ৪০০ কোটি টাকা হচ্ছে।

খসড়া আইনে পর্যটকের সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিদ্যমান আইনে বলা হয়েছে, কেউ নিজের ঘর থেকে ভ্রমণ বা শ্রান্তি বিনোদনের জন্য ২৪ ঘণ্টার বেশি কিন্তু ছয় মাসের কম সময়ে আরেক জায়গায় থাকবে। 

খসড়া আইনে, এই সময় এক বছর করা হয়েছে। তবে চাকরির জন্য থাকলে তাকে পর্যটক হিসেবে ধরা হবে না।

বিলটি উত্থাপনের সময় জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম আপত্তি জানিয়ে বলেন, বিদ্যমান আইনে ন্যূনতম সময়সীমা থাকলেও, খসড়া আইনে সেটা নেই। এছাড়া আরও কয়েকটি বিষয়ে আপত্তি তোলেন তিনি। 

বিলে বলা হয়েছে, পর্যটন করপোরেশন ডিউটি ফ্রি দোকান পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা করতে পারবে। বিদ্যমান আইনে করপোরেশনের বোর্ডে সর্বোচ্চ চারজন সদস্য থাকবে বলে বিধান আছে। নতুন খসড়া আইনে এই সংখ্যা বাড়িয়ে ১১ জন করা হয়েছে। বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন মন্ত্রণালয়ের সচিব। 

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে পর্যটন শিল্প বিকাশের মাধ্যমে বেকারত্ব হ্রাস, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আয় বৃদ্ধি এবং পর্যটন করপোরেশনের পরিধি বাড়ানোর জন্য আইনটি সংশোধন করা হচ্ছে।

পর্যটন করপোরেশনের বহুমাত্রিক কাজ বাস্তবায়নের সুবিধার্থে পরিষদকে নতুন করে করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগের আইনে বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত বলা ছিল না। এই আইনের আওতায় পর্যটন করপোরেশন পরিচালনা করতে একটি বিধিমালা করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বিলের উদ্দেশ্য কারণ সম্পর্কে বেসামারিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, আইনটি সংসদের অনুমোদন পেলে বাংলাদেশের পর্যযটন শিল্প বিকাশের মাধ্যমে বেকারত্ব হ্রাস, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও আয় বৃদ্ধিসহ কাজের পরিধি বিস্তৃত হবে। পর্যটন শিল্প বিকাশের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন তরান্বিত হবে। পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে।

এইউএ/জেডএস