আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ঘর নির্মাণে বহুতল ভবন করার প্রস্তাব করেছে জেলা প্রশাসকরা (ডিসি)। তবে প্রস্তাবটি নাকচ করে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের প্রথম দিনের দ্বিতীয় কার্য অধিবেশনে এ প্রস্তাব করেন ডিসিরা।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সম্পর্কিত কার্য অধিবেশনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অধিবেশন শেষে তিনি এ কথা জানান।

আহমদ কায়কাউস বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। এ প্রকল্পের কাঠামো নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, ডিসিদের পক্ষে একটা প্রস্তাব ছিল, এটা বহুতল ভবন করা যায় কি-না। বহুতল ভবন হলে সেটা স্থায়ী হবে, আপনারা সবাই বুঝতে পারেন। কিন্তু আমরা কেন করি না, সেটা হচ্ছে একটা বহুতল ভবন করতে গেলে যে পরিমাণ টাকার প্রয়োজন হবে, সেক্ষেত্রে কিন্তু আমাদের ওইটাকে কাস্টোমাইজ করার জন্য প্রস্তাবটি বিবেচনা করার কোন সুযোগ নেই।

‘আর দ্বিতীয় হচ্ছে বহুতল ভবন করা মানে এখানে ৫০ বছর থাকবে। আমাদের ছিন্নমূল পরিবার যেগুলো আছে, তাদের আশ্রয়ণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে এইভাবে যে, এখান থেকে পরবর্তী সময়ে তাদের উত্তরণ ঘটবে। সেজন্য আমরা পার্মানেন্ট স্ট্রাকচারে যাইনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এরকম অনেকগুলো প্রস্তাবনা আসে। সেগুলো নিয়ে আমরা তাদের ব্যাখ্যা করে বলি যে, এটা সঠিক না।’

‘তাহলে আপনারা এ প্রস্তাবটি গ্রহণ করছেন না’ -সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, ‘না, গ্রহণ করছি না।’

জেলা প্রশাসক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে অভ্যন্তরীণ সম্পদ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ, অর্থ বিভাগ, পরিসংখ্যান বিভাগ এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত বিষয়াদিকে সামনে রেখে নানা ইস্যুতে আলোচনা হয়।

সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলনের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন। ডিসি সম্মেলন মোট অধিবেশন হবে ২৫টি। এর মধ্যে কার্য অধিবেশন রয়েছে ২১টি। এতে ৫৫টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থা অংশ নিচ্ছে।

এসএইচআর/এসএম