ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল-২ এর ১০তলার কেবিনে টিউবলাইট থেকে শর্ট সার্কিটের কারণে সৃষ্ট ধোঁয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট আসে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা সদর জোন-১ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. বজলুর রশীদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা ৬টায় খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেল-২ এর ১০তলায় আসি। এসে দেখি কিছুই হয়নি। একটি টিউবলাইট থেকে শর্ট সার্কিটের কারণে সামান্য ধোঁয়া সৃষ্টি হয়েছিল। কোনো আগুন লাগেনি। আমরা ধোঁয়া বের করে দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু এটি একটি হাসপাতাল তাই আগুনের ঘটনায় ছোটাছুটি ও আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। এখন কোনো সমস্যা নেই। সব রোগী আবার আসতে পারবে।

১০৯ নম্বর কেবিনের ইরা নামের এক রোগীর স্বামী মো. খালেক ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা দুপুর থেকেই কেবিনে একটু পোড়া পোড়া গন্ধ পাচ্ছিলাম। বিষয়টি ডিউটিরত নার্সদের জানিয়েছিলাম। তারা এসে ফ্যান বন্ধ করে দিয়েছিল। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে আবার ফ্যান চালালে কেবিনে ধোঁয়া ও পোড়া গন্ধ পাই। সঙ্গে সঙ্গে আবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানাই। পরে তারা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। আমার স্ত্রী করোনা পজিটিভ। ১৫ জানুয়ারি রাতে এখানে ভর্তি করাই। এখন সব ঠিকঠাক আছে। রোগী ও আমি সুস্থ আছি।

ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের এখানে কোনো আগুন লাগেনি। ফায়ার সার্ভিস আমাদের জানিয়েছে টিউবলাইট থেকে শর্ট সার্কিট হওয়ার কারণে সামান্য ধোঁয়া হয়েছিল। কিন্তু এ ঘটনা শোনার পর রোগী ও স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ১০৯ নম্বর কেবিনে যে রোগী ছিলেন তিনি ভালো আছেন। এখন সব ঠিক আছে।

এসএএ/এসএসএইচ