রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে/ ছবি- ঢাকা পোস্ট

খাদ্যে ভেজাল রোধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, ভেজাল রোধে সংশ্লিষ্টদের সততা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  

বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) মধ্যে কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান খাদ্যমন্ত্রী।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইয়ুম সরকার এবং জাইকার পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধি মি. ইউহো হায়াকাওয়া রেকর্ড অফ ডিসকাশনে স্বাক্ষর করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোসাম্মৎ নাজমানারা খানুম, জাপানের রাষ্ট্রদূত এইচ ই মি. নাওকি ইতো এবং বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডির অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আকতার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আমাদের চাষযোগ্য জমির পরিমাণ মাথাপিছু অন্য অনেক দেশের চেয়ে কম। কিন্তু জনসংখ্যার ঘনত্ব পৃথিবীর সর্বোচ্চ। তবু দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিতের অঙ্গীকার করা হয়। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানকে মজবুত করে গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির সক্ষমতা অর্জন করার জন্য জনবলের দক্ষতা, কারিগরি জ্ঞান, ট্রেনিং এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই।

জাপানকে বন্ধুরাষ্ট্র উল্লেখ করে তিনি জানান, স্বাধীন বাংলাদেশের শুরু থেকেই জাপান উন্নয়ন কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দুই দেশের মধ্যে সুদৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এদেশে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে সহায়তা দিলেও নিরাপদ খাদ্যের জন্য এ প্রকল্পটি প্রথম।

এ সময় জাপানের রাষ্ট্রদূত এইচ ই মি. নাওকি ইতো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি দেখার মতো। এ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। জাপান সরকারের জাইকা বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতেও সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ, বিভিন্ন প্রকার নীতি প্রণয়ন, মানসম্মত কার্যপদ্ধতি প্রণয়ন, যুগোপযোগী গাইডলাইন নির্মাণ, কৌশলগত পরিকল্পনা ২০২১-২০২৬ প্রণয়ন, বিভিন্ন প্রকার রেফারেন্স ল্যাব স্থাপন এবং বিশেষজ্ঞ পরামর্শক নিয়োগসহ নানা বিষয় চুক্তির আওতায় থাকবে বলে জানানো হয়। অনুষ্ঠান শেষে নগর অ্যাপসের মাধ্যমে রাজধানীর নবাবী ভোজ রেস্তোরাঁর দুটি আউটলেট ও ফার্স রেস্তোরাঁয় মনিটরিং কার্যক্রম উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

একে/এইচকে