চট্টগ্রামে এক নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে জসীম উদ্দীন বাপ্পি (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় আদালত দুই আসামিকে খালাস দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক জামিউল হায়দার এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি নিখিল কুমার নাথ ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা এলাকার গৃহবধূ শারমিনকে ধর্ষণের পরে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় জসিমকে মৃত্যুদণ্ড এবং একটা লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালত। দুই আসামি সরওয়ার আলম সেরু ও আব্দুল মোতালেব লিটন মারা যাওয়ায় তাদের মামলার বিচার থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

তবে আইয়ুব ও শরীফের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে। হাজতে থাকা জসিম ও শরীফ রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ কুমিরায় বিকেলের দিকে নিখোঁজ হন শারমিন আক্তার। পরদিন ভোরে তার মরদেহ পাওয়া যায়। সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে শারমিনকে ধর্ষণ করে হত্যা করার প্রমাণ পাওয়া যায়। পরদিন ৩০ মার্চ অজ্ঞাত আসামি করে সীতাকুণ্ড থানায় শারমিনের মেয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার সঙ্গে পাঁচজনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়ে পুলিশ বিভিন্ন সময় চারজনকে গ্রেফতার করে। আইয়ুব এখনও পলাতক। আসামি জসীম উদ্দীন বাপ্পি খুনের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়।

২০১৯ সালের ৪ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ১৭ জনের সাক্ষ্য ও জেরা শেষে আজ আদালত এ রায় দেন।

কেএম/এমএইচএস