টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের মাধ্যমে নদীকে রক্ষা করা জরুরি বলে উল্লেখ করেছেন আলোচকরা। বৃহস্পতিবার অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের আয়োজনে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী ‘তিস্তা নদী অববাহিকা : সংকট উত্তরণ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল ৭ম আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলন আলোচকরা এ কথা বলেন।

আলোচনায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ এনভায়রনমেন্ট রিসার্চের অ্যাডভাইসর প্রফেসর ইমেরিটাস ড. আইনুন নিশাত বলেন, তিস্তা নদীর অববাহিকা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তাই দুই দেশকেই এই সংকট সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন সমাধানের জন্য বাংলাদেশ ও ভারতকে বার্ষিক হাইড্রোলজিক্যাল মূল্যায়নে বসতে হবে।

অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির বলেন, তিস্তা কৃষি, মৎস্য ও খাদ্য ব্যবস্থার জন্য পানির একটি প্রধান উৎস। পানি ও নদী শাসন, আঞ্চলিক বিরোধ ও জলবায়ু পরিবর্তন ধারাবাহিকভাবে জনগণের অধিকারকে প্রভাবিত করছে। তাই টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের মাধ্যমে নদীকে রক্ষা করা জরুরি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেছেন, নদী আর নদী নেই। মানুষ এখন শুষ্ক মৌসুমে নদী হেঁটে পার হতে পারে। ভারতের স্থানীয় জনগণের মতে তিস্তার ওপর বাঁধ নির্মাণের ফলে জীববৈচিত্র্য ও হাজার হাজার মানুষের জীবিকাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। ভূমিতে অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।

আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের প্রধান প্রফেসর অশোক সোয়াইন, জাপানের কিয়টো বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট স্কুল অফ এশিয়ান অ্যান্ড আফ্রিকান এরিয়া স্টাডিজের অধ্যাপক ড. রোহান ডিসুজা, ব্রুনাই দারুসসালাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও আন্তর্জাতিক অধ্যয়নের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ইফতেখার ইকবাল, সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, অ্যাকশনএইড ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সোসাইটির চেয়ারপার্সন ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিসের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ব্যারিস্টার মনজুর হাসান প্রমুখ।

এএসএস/ওএফ