চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিমুল হক চৌধুরীকে মারধর করার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে কক্সবাজারের রামু থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার।

গ্রেফতার দুজন হলেন- মো. সিরাজ (৩৫) ও মিনারুল ইসলাম (৩৫)। তারা বাঁশখালী থানার উত্তর জলদি এলাকার বাসিন্দা। 
 
র‌্যাব-৭ কর্মকর্তা মো. নুরুল আবছার বলেন, চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিমুল হক চৌধুরীকে মারধর করার অভিযোগে চার জনের বিরুদ্ধে ১৯ জানুয়ারি চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানায় একটি মামলা হয়েছে। সেলিমুল হক চৌধুরী নিজে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরে র‌্যাব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি, আধুনিক ও তথ্য প্রযুুক্তি ব্যবহার অব্যাহত রাখে। নজরদারির এক পর্যায়ে আজকে ভোরে কক্সবাজারের রামুতে অভিযান পরিচলনা করে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, গ্রেফতার হওয়া আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাদের বাঁশখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

উল্লেখ, ঘটনার পরপর সেলিমুল হক চৌধুরী বলেছিলেন, গত ১৮ জানুয়ারি বাঁশখালী উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হীরা মনির মিয়ার বাজারের বাসায় দাওয়াত খেতে গিয়েছিলাম। সেখানে হিরা মনির পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও আরও দুই জন ছিলেন। তাদের বাসায় বসে কথা বলছিলাম। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার দিকে একদল লোক গিয়ে ওই বাড়িতে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পর আওয়ামী লীগের কর্মী পরিচয় দিয়ে সিরাজ নামে এক যুবকের নেতৃত্বে চার জন বাড়িতে ঢুকে সেলিমুল হক চৌধুরীকে কিল-ঘুষি মারে ও গালাগালি করে।

তিনি আরও বলেন, একপর্যায়ে  তারা আমার শরীরে থাকা শার্ট ছিঁড়ে ফেলে। পরে পুলিশকে ফোন করে বিষয়টি জানানো হলে তারা এসে আমাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ১৯ জানুয়ারি সেলিমুল হক চৌধুরী নিজে বাদী হয়ে বাঁশখালী থানায় মামলাটি করেন।

মামলার আসামিরা হলেন— মো. সিরাজ (৩৭), মো. ইলিয়াস (৩৫), মো. মিনারুল ইসলাম (৩৪) ও মো. দুদু মিয়া (২৮)। এরমধ্যে দুজন আজকে গ্রেফতার হলেন। 

কেএম/এসএম