ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে ১৯ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ৬ মাস বয়সী শিশু আব্দুল্লাহকে ছাড়পত্র দিয়েছেন চিকিৎসক। শিশু আব্দুল্লাহর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিল র‍্যাব-৩।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টায় ঢামেক হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ সব তথ্য জানান র‍্যাব-৩ এর সিপিএসসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর জুলকার নায়েন প্রিন্স।

তিনি বলেন, গত ৬ জানুয়ারি শ্যামলীর ‘আমার বাংলাদেশ হাসপাতাল’ থেকে বিল পরিশোধ করতে না পারায় বের করে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে ঢাকা মেডিকেলে আসার সময় জমজ সন্তান আহম্মেদ মারা যায় এবং আরেক শিশু আবদুল্লাহকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। পরে আমরা তাকে ঢামেক হাসপাতালের শিশু হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউতে) ভর্তির ব্যবস্থা করি এবং সমস্ত চিকিৎসার দায়িত্বভার গ্রহণ করি। এ ঘটনার পর ওই হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে মালিক সারওয়ারকে গ্রেফতার করা হয়।

মেজর জুলকার নায়েন বলেন, আজ ১৯ দিন ভর্তি থাকার পর সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার পর চিকিৎসক হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়। আমরা তাকে কিছু উপহার সামগ্রী, নগদ অর্থ এবং অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে সাভারে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। আগামী ১ মাস পর তাকে আবার ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক।

শিশু আব্দুল্লার মা আয়েশা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, আমার এক ছেলেকে হারিয়েছি। আরেক ছেলেকে হারাতে বসেছিলাম ঠিক সেই মুহূর্তে র‍্যাব আমার পাশে এসে দাঁড়ায় এবং সার্বিক খোঁজ খবর রাখেন। যখন যেটা প্রয়োজন সবই ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আমার ছেলেকে সুস্থভাবে আজ চিকিৎসক ছাড়পত্র দিয়েছে। 

সার্বিক সহযোগিতার জন্য র‍্যাব-৩ এবং ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়াকে ধন্যবাদ জানান শিশু আব্দুল্লার মা আয়েশা বেগম।

এসএএ/আইএসএইচ