সকাল থেকেই মেঘমালা ওড়াওড়ি করছিল আকাশজুড়ে। দুপুরের পর কালোমেঘ বৃষ্টি হয়ে নামতে শুরু করলো। 

রাজধানীতে বুধবার বিকেলে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। প্রগতি সরণি, বাড্ডা, গুলশান-১, গুলশান-২ হয়ে চলাচলকারী বাস ও অন্যান্য যানবাহনগুলো বৃষ্টিতে চলছিল কম গতিতে, কোথাও কোথাও তাই গাড়ির জট লেগে যায়। গন্তব্যের দিকে যেতে যেতে আটকে পড়েন যাত্রীরা। কুড়িল হয়ে বাণিজ্য মেলার দিকে যাওয়ার পথে বৃষ্টির ফলে রাস্তায় কাদায় ভোগান্তি হচ্ছে চালক-যাত্রীদের।

বিকেল ৫টার দিকে পূর্বাচল থেকে ৩০০ ফুট সড়ক ধরে কুড়িলের দিকে আসার পথে বসুন্ধরা কনভেনশন সিটির সামনে নুর নবী শিমু নামে এক ব্যক্তি দেখতে পান মোটরসাইকেল থেকে চালক ও সহযাত্রী পড়ে গেছেন। বিষয়টি ছবিসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাৎক্ষণিক শেয়ার করে প্রতিক্রিয়ায় লেখেন, ‘আমি নিজে প্রাইভেটকার চালাতে পারছি না কাদার কারণে। বাণিজ্য মেলার সামনের রাস্তা থেকে ৩০০ ফুটে আসতে যেন জান বের হয়ে যাচ্ছে। এ সড়কে বৃষ্টির ফলে গাড়ির জট নেই, আছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।’ 

তিনি আরও লেখেন, ‘একে তো উন্নয়ন কাজ চলছে, তার ওপর যান চলাচলে শৃঙ্খলা নেই। আজ বৃষ্টির ফলে ধুলোর বদলে ভোগান্তি তৈরি হয়েছে কাদায় পড়ে। গাড়ি চলছে ধীর গতিতে।’

এদিকে হঠাৎ বৃষ্টির ফলে বিকেল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। মালিবাগ রেলগেট থেকে বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে রাইদা পরিবহনের বাসে উঠেন এস আই রাজ নামে এক সংবাদকর্মী। রামপুরা হয়ে নর্দায় পৌঁছাতে তার সময় লাগে দেড় ঘণ্টা।

তার কাছে জানা গেল, যানজট ছিল মেরুল বাড্ডা ও মধ্য বাড্ডায়। রামপুরা ব্রিজ পার হওয়ার পর থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়।

তখন তিনি দেখেন, সামনের গাড়িগুলো ধীরে এগোচ্ছে। এই ধীর গতির ফলে শুধু এস আই রাজ নয়, অসংখ্য যাত্রী দুর্ভোগে পড়েন। এস আই রাজ বলেন, হঠাৎ বৃষ্টিতে বাস থেকে নেমেও ভিজতে হয়েছে রাস্তায়।

রাজধানীর আকাশে দুপুরে সূর্য দেখা গেছে। তবে বেশিক্ষণ স্থায়ী ছিল না। এই আলো কড়া ছিল না, ছিল না তেমন উত্তাপ। এ অবস্থায় বিকেলের বৃষ্টি নাগরিক ভোগান্তি বাড়িয়েছে; যদিও কারোর কাছে বৃষ্টি ছিল বড় উপভোগের। দিন কয়েক ধরে বিকেলের পর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে ঢাকা বিভাগ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে। 

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যার পর ঢাকা ছাড়াও দেশের কিছু স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও দমকাসহ বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ২৮, ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি দেশের কয়েকটি অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ দশমিক ২,  ময়মনসিংহে ১৫ দশমিক ৪,  চট্টগ্রামে ১৭.৪, সিলেটে ১৫ দশমিক ৩, রাজশাহীতে ১৫ দশমিক ২, রংপুরে ১৩ দশমিক ৫, খুলনায় ১৭ দশমিক ২ এবং বরিশালে ১৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

পিএসডি