চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ৪ জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে উপজেলার খাগরিয়া ইউনিয়নের জোড়ার কুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধরা হলেন- মো. ফারুক (৬১), মুন্সি মিয়া (৫৫), মো. রফিক (৫০) ও শাহ আলম (৬০)। আহতরা সবাই মোটরসাইকেল মার্কার স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের অনুসারী বলে জানা গেছে। 

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদেকুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, খাগরিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম তার সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণায় গেলে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধ চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। তাদেরকে চমেক হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা সবাই শর্ট গানের গুলিতে আহত হয়েছেন।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খাগরিয়ার জোড়ার কুল এলাকায় গণসংযোগ করছিলেন মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী জসিম উদ্দিন। এ সময় হঠাৎ করেই গুলির আওয়াজ শোনা যায়। গণসংযোগে আসা লোকজন এ সময় ছুটোছুটি শুরু করে। তবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আক্তার হোসেনের অনুসারীরা এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জসিম উদ্দিন।

মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী জসিম উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকাল থেকে গণসংযোগ করছিলাম। জোড়ার কুলে যাওয়ার পর নৌকার প্রার্থী আক্তার হোসেনের লোকজন আমাদের উপর হামলা চালায়। তারা প্রকাশ্যে গুলি করে। এতে আমার ১০ জন কর্মী আহত হয়। আক্তারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় আমার অফিস গত তিন ধরে ভাঙচুর করছে। আমি এ বিষয়ে গত রাতেও সাতকানিয়া থানার ওসিকে লিখিত এজাহার দিয়েছি। 

নৌকা প্রার্থী আক্তার হোসেন হামলার ঘটনা অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী জসিম উদ্দিন দুই-তিনশ সশস্ত্র লোক এনে আমার বাড়িসহ এলাকার লোকজনের উপর হামলা চালায়। এতে আমার কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছে।

এই বিষয়ে সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল ঢাকা পোস্টকে বলেন, নির্বাচনী সহিংসতার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

কেএম/আইএসএইচ