ঢাকা জেলার সার্ভেয়ার আতাউরের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের মামলা
১১ লাখ ১৮ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও ৩০ লাখ ৭০ হাজার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মো. আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
আতাউর রহমান বর্তমানে প্রেষণে কেরানীগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসে কর্মরত রয়েছেন। গত ১৩ জানুয়ারি মামলাটি অনুমোদন করে কমিশন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আতাউর রহমানের জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করার অভিযোগ প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৯ সালের ২৯ আগস্ট সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারি করে দুদক। এরপর ওই বছরের ২২ অক্টোবর কমিশনে তার সম্পদ বিবরণী দাখিল করে। দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ২৫ লাখ ৬৫ হাজার ৭৭৩ টাকার স্থাবর ও ১৩ লাখ ১৪ হাজার ২০২ টাকার অস্থাবরসহ মোট ৩৮ লাখ ৭৯ হাজার ৯৭৫ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন।
বিজ্ঞাপন
কিন্তু সম্পদের বর্ণনায় দেখা গেছে, আসামি আতাউর ‘ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের আফতাব নগর প্রকল্পে’ ২.৮৮ শতাংশ জমি ২০১৫ সালে তার বাবার নামে ক্রয় করেন। পরে হেবা দলিলের মাধ্যমে দান হিসেবে গ্রহণ করেন। সেখানে জমির দালিলিক মূল্য ৯ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা দেখিয়েছেন। এছাড়াও তিনি শরীয়তপুর জেলার মহিশখালী মৌজায় ৯.৫০ শতাংশ জমি তার ভাইয়ের কাছ থেকে দান হিসাবে ২০১৬ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর গ্রহণ করেছেন। যার দালিলিক মূল্য ১ লাখ ৮১ হাজার টাকা। একই তারিখের একই মৌজায় আতাউর নিজ নামে ৬.৫০ শতাংশ জমিও ক্রয় করেন। দুদকের অনুসন্ধানে প্রকৃত মূল্য দলিল মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি পাওয়া গেছে। প্রকৃত পক্ষে আতাউর দান গ্রহণকারী হিসাবে দেখলেও প্রকৃতপক্ষে সেটা তার কৌশল ছিল। একই সঙ্গে জমির মূল্য কম দেখিয়ে ১১ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদের মূল্য প্রদর্শন না করে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এছাড়া আতাউর রহমানের আয়কর নথি ও আয়-ব্যয় সংক্রান্ত অন্যান্য রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে ৩০ লাখ ৭০ হাজার ৪৭৫ টাকার সম্পদের প্রমাণ পাওয়া গেছে, যা জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ হিসেবে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্রে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়া যায়। যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আরএম/জেডএস