সিআরবিতে রেলওয়ের জায়গায় হাসপাতাল নির্মাণ নিয়ে রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, সিআরবির হাসপাতাল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ যে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের পুরাতন রেলস্টেশন এলাকায় প্রস্তাবিত কল্যাণ ট্রাস্টের জায়গা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

রেলমন্ত্রী বলেন, সিআরবির হাসপাতালের প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে মূলত পিপিপি (পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ) ফর্মে। আমাদের সরকারের যে নীতি, সেটা হলো- আমাদের যে উন্নয়ন প্রকল্প তার ৩০ শতাংশ পিপিপির মাধ্যমে গ্রহণ করা হবে। সিআরবি হাসপাতালের বিষয়টি যখন মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নে গিয়েছে, তখনই অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের বিষয়গুলো আসছে। সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তক্রমে যেহেতু প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে হাসপাতাল করার বিষয়টা হয়েছে। আমাদের রেল মন্ত্রণালয়ের ভিন্ন কোনো মত বা চিন্তা থাকলেও আমরা কোনো অথরিটি না সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার জন্য। পক্ষে বা বিপক্ষে যাই হোক না কেন আলাপ-আলোচনা চলছে। আলোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেই অনুযায়ী হবে।

সিআরবিতে বঙ্গমাতার নামে উদ্যান করার প্রস্তাব দিয়েছে চট্টগ্রামের নাগরিক সমাজ। এ বিষয়ে মন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সিআরবির বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। যা কিছুই হোক না কেন প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন নিয়ে আমাদের সব সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

রেলমন্ত্রী বলেন, রেলকে সরকার পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটা উন্নত দেশের স্বপ্ন নিয়ে রেল খাতকে গড়ে তোলার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আমরা যে সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ করছি, তা যেন অসামঞ্জস্যপূর্ণ না হয়। একটা মাস্টারপ্ল্যানের অধীনে আমাদের উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলো যেন গ্রহণ করতে পারি, সেটাই আমাদের উদ্দেশ্য।

জায়গা পরিদর্শনের বিষয়ে তিনি বলেন, রেলওয়ে কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের চাহিদা ছিল পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় একটি মার্কেট করার। তারা মার্কেটের জন্য পুরাতন রেলস্টেশন এলাকায় একটি জায়গা প্রস্তাব করেছে। আজ আমরা জায়গাটি পরিদর্শন করলাম। ঢাকায় গিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
 
নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, রেলের অনেক জায়গা আছে, যেগুলো আমরা ব্যবহার করতে পারছি না। এগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করে রেলের আয় বাড়াতে পারি, সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। জায়গা ফেলে রেখে কোনো লাভ নেই। এগুলো ব্যবহার করতে হবে। এ ব্যবহার যেন পরিকল্পিত ও যথাযথ হয়। আমরা যে একটি উন্নত দেশের স্বপ্ন দেখছি তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।

এ সময় রেল সচিব, রেলওয়ের মহাপরিচালকসহ রেলের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কেএম/এসএসএইচ