পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা ই-কমার্স গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যেসব লেনদেনে আইনি জটিলতা আছে, সেগুলো নিষ্পত্তি শেষে টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ইউনিক বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন (ইউবিআইডি) উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। দেশের ই-কমার্স খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে ইউবিআইডি পদ্ধতি উদ্বোধন করা হয়।

এর ফলে ফেসবুকসহ অনলাইন মাধ্যমে যারা ব্যবসা করবেন তাদের নিবন্ধনের আওতায় আসতে হবে। সকাল ১০টায় প্রথমে ডিজিটাল কমার্স ব্যবসার সার্বিক বিষয়ে পর্যালোচনা সভা হয়। এরপর দুপুর ১টায় অ্যাপসটির উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ, বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ।

অনুষ্ঠানে টিপু মুনশি বলেন, (ই-কমার্স গ্রাহকদের) যে টাকা আটকে আছে, সে টাকা দেওয়া শুরু করেছি। এর মধ্যেও অনেক আইনি জটিলতা আছে। আমি ঠিক বলতে পারি না অমুক তারিখে এটি দেওয়া শেষ হবে। আমরা শুরু করেছি, যেটাই আইনি জটিলতা থেকে বেরিয়ে আসবে, সঙ্গে সঙ্গে দেওয়া হবে।

কী পরিমাণ টাকা আটকে আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিউকমের ৩৯৭ কোটি টাকা। তার মধ্যে ৬০ কোটি টাকা আমরা বের করেছি এবং ১৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। দেওয়ার প্রসিডিউরে কিছু সমস্যা আছে, সেগুলো ঠিক করে আমরা দিয়ে দেব। এটা একটা কোম্পানি। আরও বিভিন্ন কোম্পানি আছে।

ইউবিআইডি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ জানান, এ আইডি উদ্বোধনের ফলে ই-কমার্সের প্রতি গ্রাহকদের বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠা পাবে।

বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মাসুদ বিশ্বাস, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, ই–কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইক্যাব) সভাপতি শমী কায়সার, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, পুলিশের সিআইডি, এসবি, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ডাক অধিদপ্তরসহ মোট ১৬টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

ইউনিক বিজনেস আইডি উদ্বোধনকালে চালডাল লিমিটেড, আজকের ডিল, রকমারি.কমসহ ১১টি প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।

এসএইচআর/এসএসএইচ