রিং আইডি খুলে দেওয়া ও রিং আইডি কমিউনিটি জবস মেম্বারশিপের বিনিয়োগ করা টাকা ফেরতের দাবিতে সাদা কাপড় পরে অবস্থান কর্মসূচিতে বসেছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। তারা অবস্থান কর্মসূচি থেকে বলছেন, ‘টাকা দাও, না হলে বিষ দাও।’

রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায় তাদের। গত ৩ তারিখ থেকে তারা প্রতিদিন সকাল ৯টা এখানে আসেন এবং বিকেল ৫টায় চলে যান। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা এখানে আসবেন বলে জানিয়েছেন।

অবস্থান কর্মসূচি থেকে শরীরে সাদা কাপড় জড়িয়ে থাকা নিয়ামুল হক সুমন ঢাকা পোস্টকে বলেন, রিং আইডির একজন গ্রাহকের মামলার ভিত্তিতে তদন্ত করতে গিয়ে পুরো কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়াসহ তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে রাখা হয়েছে। কিন্তু ওই তদন্ত করতে এত সময় লাগবে তা আমাদের সাধারণ গ্রাহকদের জানা ছিল না। এর জন্য এখন আমরা ক্ষতিগ্রস্ত। আমাদের অনেকে জবস মেম্বারশিপে বিনিয়োগ করার জন্য বিভিন্ন এনজিও, সমিতি এবং ব্যাংক থেকে লোন নিয়েছে। এখন এই লোনগুলো সুদসহ পরিশোধ করতে সবাইকে নিঃস্ব হতে হচ্ছে। আমার রিং আইডির ওয়ালেটে ২০ লাখ টাকা আটকে আছে।

আরেক গ্রাহক সুমন রানা বলেন, করোনাকালে চাকরি চলে যাওয়ায় আমার এক বন্ধুর মাধ্যমে রিং আইডির খবর পাই। পরে ধারদেনা করে মোট ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করি। সেখানে থেকে ধাপে ধাপে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত উত্তোলন করতে পারি। পরে ২০২১ সালে সেপ্টেম্বর মাসে রিং আইডির অ্যাকাউন্ট সরকার ফ্রিজ করে দিলে সব গ্রাহকের লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়। তাই আমরা সরকারের কাছে রিং আইডির ফ্রিজ অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
 
অবস্থান কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা কয়েকজন গ্রাহক অবস্থান করছেন।

এমএইচএন/এসএম