আর মাত্র এক সপ্তাহ পরই বিদায় নিতে যাচ্ছে কেএম নূরুল হুদা কমিশন। সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি বর্তমান কমিশনের শেষ কার্যদিবস। সে হিসেবে নতুন কমিশন পেতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। 

নতুন কমিশন গঠনে এরই মধ্যে রাষ্ট্রপতি ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেছেন। সিইসিসহ নতুন কমিশনার খুঁজে বের করার লক্ষ্যে সার্চ কমিটি আজ (রোববার) বিকেলে প্রথম বৈঠকে বসেছিল। বৈঠক শেষে সার্চ কমিটি জানায়, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে নামের তালিকা দেবেন তারা।

এদিকে ইসি কমিশনার হওয়ার জন্য তদবির শুরু করছেন অনেকেই। এরই অংশ হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে গুঞ্জন ছিল নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা-১ শাখার যুগ্ম সচিব মো. আবুল কাসেম পরবর্তী কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পাচ্ছেন। গুঞ্জন যেন বাস্তব হতে চলেছে। এমনটাই মনে করছেন ইসি কর্মকর্তারা। কারণ যুগ্ম সচিব মো. আবুল কাসেম ইতোমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের চাকরি থেকে অব্যাহতি দিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে যুগ্ম সচিব মো. আবুল কাসেম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘কমিশনার কে হবেন এটা সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। সরকার যদি মনে করে, তাহলে যে কাউকে কমিশনার নিয়োগ দিতে পারে।’ 

আপনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। পদত্যাগপত্রের সঙ্গে কমিশনার হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।’

ইসি কর্মকর্তারা জানান, গত বছর চাকরির বয়স শেষ হলে মো. আবুল কাসেমকে আগামী দুই বছরের জন্য নির্বাচন কমিশনে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয় সরকার। দুই বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের এক বছরের মাথায় পারিবারিক কারণ দেখিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। 

বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, নতুন নির্বাচন কমিশনার হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা , একজন বিচারপতি, পুলিশের সাবেক আইজি এবং সাবেক সচিব। এছাড়া একজন নারী থাকবেন নতুন কমিশনে। তবে এর মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন ইসির যুগ্ম সচিব মো. আবুল কাসেম। এছাড়াও ইসির সাবেক এক অতিরিক্ত সচিবও কমিশনার হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন। 

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সার্চ কমিটির তালিকা অনুযায়ী নতুন ইসি গঠন করেন। এরপর ১৫ ফেব্রুয়ারি হুদা কমিশন শপথ নেয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী।

এসআর/এসকেডি