শ্রেষ্ঠ জয়িতা হিসেবে সম্মাননা পেয়েছেন সিলেট ও রংপুর বিভাগের ১০ জন আত্মপ্রত্যয়ী এবং সংগ্রামী নারী। এ উপলক্ষে বুধবার ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সভা কক্ষে দুটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন। 

সিলেট বিভাগের সম্মাননা পাওয়া নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ পাঁচ জয়িতা হলেন; অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে সিলেটের স্বর্ণলতা রায়, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী মৌলভীবাজার জেলার রাশেদা বেগম, সফল জননী ক্যাটাগরিতে মোছা. রহিমুননেছা চৌধুরী, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা সিলেটের হোসনে আরা বেগম এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় সিলেট সদরের বিথীকা দত্ত।
 
প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা শিশু একাডেমিতে উপস্থিত অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ জয়িতা স্বর্ণলতা রায়ের হাতে সম্মাননা স্মারক, নগদ অর্থ ও সনদ তুলে দেন। 

রংপুর বিভাগের সম্মাননা পাওয়া শ্রেষ্ঠ পাঁচ জয়িতা হলেন; অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে, রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার মোছা. সূর্য্য বেগম, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের হাফিজা খাতুন, সফল জননী ক্যাটাগরিতে রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলার আলহাজ্ব মোছা. মাহমুদা খাতুন, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু করা পঞ্চগড়ের আটোয়ারীর সেবিকা রাণী এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় পঞ্চগড় সদরের মোছা. রোকেয়া বেগম। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, দেশের সকল বিভাগ ও জেলায় নারীদের প্রশিক্ষণ, দক্ষতা বৃদ্ধি, কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল ও ডে-কেয়ার সেন্টারসহ বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে। জয়িতাকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নারীবান্ধব বিপণী কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছে। দেশে ক্ষুদ্র ব্যবসা ও অনলাইন ভিত্তিক ই-কমার্সের যে জয়জয়কার, তার পেছনে জয়িতা কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। যার ফলে নারীরা আর্থিক সচ্ছলতা ও স্বাবলম্বিতা অর্জনের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারছেন।

এসএইচআর/এসকেডি