সচিবালয় ক্লিনিকে টিকা নিচ্ছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টিকা নিতে শুরু করেছেন। রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমানকে টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে ক্লিনিকে এই কার্যক্রম শুরু হয়।
দুপুর ১টায় টিকা নেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। কোভিড-১৯ টিকা নেওয়ার অনুভূতি অন্যান্য টিকার মতোই বলে জানান তিনি।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, সব পর্যায়ে টিকাদান ব্যবস্থাপনা সন্তোষজনক। মন্ত্রী-এমপিরা অনেকেই টিকা নিচ্ছেন, অপপ্রচারকারীরা ব্যর্থ হয়েছে। জনগণকে নির্দ্বিধায় টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
দায়িত্ব পালনরত স্বেচ্ছাসেবী মো. শাকিল সিকদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকাল ৮টায় টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমরা প্রতিদিন ২০০ জনকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছি।
বিজ্ঞাপন
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সারাদেশের এক হাজার ৫টি কেন্দ্রে একযোগে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সকাল ১০টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এসময় তিনি বলেন, আজ সারাদেশে টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। করোনার শুরুতে মাত্র একটি ল্যাব ছিল বাংলাদেশে। সেখানে ২০০টি ল্যাব এমনি এমনি তৈরি হয়ে যায়নি। ৩৫টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন ছিল, আমরা ৯০টি নতুন সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন এনেছি। অনেকে বলেছিলেন ভেন্টিলেটর লাগবে। কিন্তু এখন সব ভেন্টিলেটর খালি পড়ে রয়েছে। দরকার ছিল সেন্ট্রাল হাইফ্লো নেজাল ক্যানোলা। আমরা যখন এটি জানলাম তখন লকডাউন থাকা অবস্থায় নিয়ে এসেছি কয়েক হাজার হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর। ফলে আমাদের মৃত্যুহার কম রাখতে সক্ষম হয়েছি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশব্যাপী করোনা টিকাদান কর্মসূচির প্রথম দিনে ঢাকার ৫০টি হাসপাতালে ৫০টি কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। মোট ২০৪টি দল ঢাকার টিকাদান পরিচালনা করছে। এছাড়া বিভিন্ন জেলার ৯৫৫টি হাসপাতালে টিকাদান কর্মসূচির প্রথম দিনে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এতে মোট দুই হাজার ১৯৬টি দল কাজ করছে।
এসএইচআর/জেডএস