পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব বিভাগের কর্মকর্তাদের সাংবাদিকদের অবাধে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

রোববার (০৭ ফেব্রুয়ারি) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ত্রৈ-মাসিক সমন্বয় সভায় এ নির্দেশনা দেন মন্ত্রী। সভায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পরিকল্পনা বিভাগ, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি), পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগ, শিল্প ও শক্তি বিভাগ, কৃষি-পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগ, ভৌত অবকাঠামো বিভাগ, বিআইডিএস ও এনএপিডি’র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় অবাধ তথ্য প্রবাহ প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমার মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে সভা করেছি। সচিব থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সবাইকে বলেছি সাংবাদিকরা যেন অবাধে তথ্য পেতে পারে। সাংবাদিকদের কাজে যেন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয়। আলোচনায় দেখা গেছে, আমাদের অনেক ক্ষেত্রে অগ্রগতি ভালো হয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকারের দেশ পরিচালনার গত ১২ বছরে বিভিন্ন সেক্টরে ব্যাপক সংস্কার ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম হয়েছে। যেগুলো দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এজন্য দেশের অর্জনের কি ইমপ্যাক্ট তৈরি করেছে এ বিষয়ে বাংলায় একটি বই বের করার জন্য কমিটি গঠন করেছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে (বিআইডিএস) এই দায়িত্ব দেওেয়া হয়েছে। বৈশাখের আগেই বাংলায় রচিত এই বইটি প্রকাশ করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে গত ১২ বছরে কি কি প্রকল্প অনুমোদন এবং বর্তমানে প্রকল্পগুলোর সুফল সাধারণ জনগণ কীভাবে পাচ্ছে তার চিত্র এই প্রকাশনায় উঠে আসবে। প্রধানমন্ত্রীর শাসনামলে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিকসহ বিভিন্ন অঙ্গনে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বিষয়গুলো একত্রিত করে মূলত বইটি প্রকাশ করা হবে। এর বাইরেও বাংলাদেশের সমষ্টিক অর্থনীতির অর্জনের বিষয় রিপোর্ট থাকবে। চলতি বছরের ১৫ এপ্রিলের মধ্যেই বই বের হবে।’

বাংলায় রিপোর্ট প্রণয়ন প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘প্রকল্পের প্রত্যেক কপি বাংলায় বাধ্যতামূলক করতে হবে। সাধারণ মানুষকে বোঝাতে হলে বাংলায় রিপোর্ট লিখতে হবে। তবে বিদেশিদের বোঝানোর জন্য একটা কপি ইংরেজিতে হতে পারে। বিআইডিএস এর প্রধানকে বলা হয়েছে প্রতি তিন মাস পর বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের রিপোর্ট দেওয়ার জন্য। আমরা টেম্পারিং রিপোর্ট চাই না, আমরা প্রকৃত রিপোর্ট চাই।’

এসআর/জেডএস