বাংলাদেশ ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা। ৪৮৫ বছরে বাংলাদেশ ভূখণ্ডের ভেতরে ও ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে ৫২টি মৃদু, মাঝারি ও তীব্র মাত্রায় ভূমিকম্প সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে মাত্র ছয়টি ভূমিকম্প হয়েছিল ঢাকা ও এর আশপাশে। এক যুগে ঢাকার আশপাশে মোট আটটি ভূমিকম্প হয়েছে। এসব ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী ও দোহারে।

ঢাকায় ১৪ আগস্ট ২০২৩ রাতে যে ভূমিকম্প হয়েছে রিখটার স্কেলে তার মাত্রা ছিল সাড়ে ৫। দেশের ভেতরে উৎপত্তি হওয়া ভূমিকম্পগুলোর মধ্যে এই মাত্রা ২০ বছরে সর্বোচ্চ। ভূমিকম্পের উৎসস্থলটি ডাউকি চ্যুতি বরাবর। সেইখানে ভূমিকম্প বাড়ছে। এটা ওই এলাকায় বড় ভূমিকম্পের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

দেশে মাত্র ১৫ দিনের মাথায় আবারও ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও ৩ অক্টোবর ২০২৩ নেপাল, ভুটান ও চীনে এই ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। ঢাকা, সিলেট, রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাটসহ সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রংপুরের বাসিন্দাদের অনেকে ঘর থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। হাসপাতালে রোগী ও স্বজনরা প্রাণভয়ে এদিক-ওদিক ছুটতে শুরু করেন। তবে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

ভূমিকম্পের সময় সিলেট নগরীর বাসিন্দাদের মাঝেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ২। উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রেসুবেলপাড়া থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশে ১৮২২ এবং ১৯১৮ সালে মধুপুর ফল্টে বড় ভূমিকম্প হয়েছিল। সেই হিসাবে আরেকটি বড় ভূমিকম্পের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ। এটা আতঙ্কের বিষয়। তার মানে, ছোট এসব কম্পন শক্তি সঞ্চয় করছে। ফলে সামনে বড় ভূমিকম্পের শঙ্কা আছে।

দুই-তিন বছরে দেশে ভূমিকম্প অনেক বেড়েছে। এক বছরে বাংলাদেশে ১৯টি ভূমিকম্প হয়েছে। বেশিরভাগের মাত্রা ছিল ৪ থেকে ৫–এর মধ্যে। ১০টির উৎস ছিল চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকায়। সবচেয়ে তীব্র ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি জেলা ও সিলেটের জৈন্তাপুর এলাকা। তা নিয়ে আড়াই মাসে ছয়বার ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ।

২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে দেশে তিনবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। আগস্টে দুই দফায় দেশে ভূকম্পন হয়েছে। তুরস্কের বড় ভূমিকম্পের আগে ১০০টিরও বেশি ছোট ছোট ভূমিকম্প হয়েছিল।

ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সিলেট ও ভারতের আসাম মিলিয়ে ডাউকি চ্যুতি পূর্ব-পশ্চিমে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার বিস্তৃত। ১৮৯৭ সালে ‘ডাউকি ফল্টে’ ৮ দশমিক ৭ মাত্রার ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান আর্থকোয়েক’ নামে সর্বাধিক পরিচিত আসাম ভূমিকম্পটি হয়েছিল। এই ভূমিকম্পের ফলে ১ হাজার ৫৪২ জনের মৃত্যু, রেললাইন বেঁকে যাওয়া এবং ব্রহ্মপুত্র নদের গতিপথ পরিবর্তিত হওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছিল।

ডাউকি চ্যুতি ছাড়াও বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকার ভূগর্ভে থাকা একটি চ্যুতিও সক্রিয়। বাংলাদেশের মাটির নিচে মোট ১৩টি চ্যুতি (ফল্ট) আছে—জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বার্মিজ প্লেট ও ইন্ডিয়ান প্লেটের পরস্পরমুখী গতির কারণেই এই ধরনের ভূমিকম্প হচ্ছে। ভূতত্ত্ববিদদের মতে, বাংলাদেশের পার্বত্য এলাকায় ইন্ডিয়ান প্লেট ও বার্মা প্লেট নামে দুটি টেকটনিক প্লেটের অবস্থান রয়েছে। এরমধ্যে ইন্ডিয়ান প্লেটটি উত্তর-পূর্ব দিকে এবং বার্মিজ প্লেটটি পশ্চিম দিকে যাচ্ছে। ফলে পরস্পরমুখী সংঘর্ষ হচ্ছে। এই দুটি প্লেটের যে সংযোগস্থল তা বেশ গভীরে।

বাংলাদেশের যেসব অঞ্চলে বিশেষ করে সিলেট এলাকায় যেখানে ভূমিকম্প হচ্ছে তা স্যালো ডেপথ, অর্থাৎ কম গভীর। এই দুটি প্লেটের সংযোগস্থলে প্রচুর পরিমাণে শক্তি জমে রয়েছে যেগুলো বের হয়ে আসার পথ খুঁজছে। আর সেই কারণেই ঘন ঘন এমন ভূমিকম্প অনুভূত হচ্ছে।

চার-পাঁচ মাসে আমরা বারবার ভূমিকম্প দেখলাম। এই সবগুলোই হচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি ভূমিকম্প। এটা সাবডাকশন জোনের লকড সেগমেন্টে হচ্ছে। এর মানে হচ্ছে, বড় শক্তি বের হওয়ার একটা প্রবণতার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এই এলাকায় হাজার বছরের শক্তি এখানে জমা হয়ে আছে। তার অর্থ যেকোনো সময় একটি বড় ভূমিকম্প সংগঠিত হতে পারে।

আবার ১০০ বছরের মধ্যে আমাদের এখানে তেমন বড় ভূমিকম্প হয়নি। ভূতত্ত্ববিদদের মতে, সাধারণত প্রতি একশ বছর পর পর বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়ে থাকে। বাংলাদেশে ১৮২২ এবং ১৯১৮ সালে মধুপুর ফল্টে বড় ভূমিকম্প হয়েছিল। সেই হিসাবে আরেকটি বড় ভূমিকম্পের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ। এটা আতঙ্কের বিষয়। তার মানে, ছোট এসব কম্পন শক্তি সঞ্চয় করছে। ফলে সামনে বড় ভূমিকম্পের শঙ্কা আছে। তবে এই বড় ভূমিকম্প কবে হবে তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের মাটি নরম। এটি একদিকে ভূমিকম্পের বেশি ক্ষয়ক্ষতি থেকে আমাদের বাঁচিয়ে দেবে। তবে নরম মাটির এলাকায় ভূমিকম্পের প্রবণতা বা ফ্রিকোয়েন্সি বেশি থাকলে তা দীর্ঘমেয়াদি দুলুনি বা কম্পন সৃষ্টি করে বড় ক্ষয়ক্ষতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঝুঁকি মাথায় রেখে অবিলম্বে পর্যাপ্ত পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নেওয়া উচিত বাংলাদেশের। কারণ ভূমিকম্পের বড় ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ।

ভূমিকম্পের বিষয়ে সচেতনতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে বাংলাদেশে, যেকোনো সময় বড় ধরনের ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা থাকলেও ভূমিকম্প মোকাবিলায় তেমন কোনো প্রস্তুতি নেই বললেই চলে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বড় ভূমিকম্প এদেশে হলে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করাই হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তারা বলছেন, রাজধানী ঢাকার মতো বড় শহরগুলোয় যে পরিমাণ বহুতল ভবন গড়ে উঠেছে তাতে ভূমিকম্পে এসব ভবন ধসে পড়লে শহরগুলো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। যার কারণে ব্যাহত হবে উদ্ধার কাজ।

রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হলেও শুধু ভবন ধস নয়, ঢাকার অপরিকল্পিত বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও গ্যাসলাইন এই নগরকে একটি অগ্নিকূপে পরিণত করতে পারে। মৃত্যু হতে পারে আড়াই থেকে তিন লাখ মানুষের। কারণ, আমাদের ভবনগুলো এখনো নিরাপদভাবে তৈরি হচ্ছে না।

ঢাকা শহরের প্রায় সব বাড়িতে তিতাস গ্যাসের লাইন আছে। প্রয়োজন ছাড়া গ্যাসের চুলা জ্বালিয়ে রাখা ভূমিকম্পের দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত ভয়ংকর। এমএমআইয়ের ৮ স্কেলের ঝাঁকুনিতে রান্নাঘরের গ্যাস বার্নার থেকে মুহূর্তে আগুন ধরে যেতে পারে।

বুয়েটের বিভিন্ন সময়ে করা জরিপে দেখা যায়, ঢাকায় ১৩ লাখ, চট্টগ্রামে ৩ লাখ ও সিলেটে ১ লাখ বহুতল ভবন রয়েছে। এসব ভবনের ৭৫ শতাংশ হচ্ছে ছয়তলা বা তার চেয়েও উঁচু। দ্রুত দেশের ২০ লাখ বহুতল ভবনের সবকটি ভূমিকম্প-সহনশীল করতে হবে। করার মতো কারিগরি দক্ষতা এবং সামর্থ্য বাংলাদেশের আছে। তবে এজন্য সরকারের জরুরি উদ্যোগ দরকার। সারা দেশে বড় বড় শহরে সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে সেইখানকার বাসাবাড়ি ভূমিকম্প-সহনীয় কি না, তা যাচাই করতে হবে।

ভূমিকম্পে ৯০ শতাংশ মানুষ মারা যায় ভবন ধসে। চট্টগ্রাম থেকে শুরু করে রাজধানীর ভবনগুলো ভূমিকম্পন–সহনশীলভাবে তৈরি করা এবং সচেতনতামূলক প্রস্তুতি বাড়াতে হবে।

আমাদের এখানে বিল্ডিং কোড সঠিকভাবে মানা হচ্ছে কি না, এটাও একটা বড় ইস্যু। আমাদের পুরোনো ২-৩ বা ৫ তলার যেসব ভবন আছে, যেগুলো ভূমিকম্প সহনীয় নয়, সেইগুলো যদি বিধ্বস্ত হয়, সেইক্ষেত্রে প্রথমত এখনই তা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। নির্মাণবিধি না মানা ভবনের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। ভবন নির্মাণবিধির ওপর প্রকৌশলী, স্থপতি ও পরিকল্পনাবিদদের বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণ দিতে হবে।

তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে এখনই ভবন তদারকের কাজ শুরু করতে হবে। ভবনে হালকা দ্রব্য ব্যবহার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। পোড়ামাটির ভারী ইট ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। শহরে ভূমির গঠন অনুযায়ী ভূমি ব্যবহারের পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। মানসম্মত নির্মাণসামগ্রী ব্যবহৃত হচ্ছে কি না, তা কঠোর তদারকির মধ্যে রাখতে হবে। বিম ছাড়া ভবন (ফ্ল্যাটপ্লেট) ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়। বিম ছাড়া ভবন যেন না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।

ভূমিকম্পের পূর্বানুমান করা সম্ভব না। তবে ব্যবস্থা একটাই, প্রস্তুতি নিতে হবে। বিল্ডিং কোড এনফোর্সমেন্ট ও পরিকল্পনা সংশ্লিষ্ট আইনকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। এতে ৯৯ শতাংশ নতুন ভবন টিকে যাবে। তবে পুরোনো ভবনের জন্য মজবুতিকরণ পন্থায় যেতে হবে। ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য বিবেচনা না করে নগরায়ণ হলে দুর্যোগের শঙ্কা বাড়বে।

ভূমিকম্পের বিষয়ে সচেতনতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে বাংলাদেশে, যেকোনো সময় বড় ধরনের ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা থাকলেও ভূমিকম্প মোকাবিলায় তেমন কোনো প্রস্তুতি নেই বললেই চলে।

আমাদের রেসপন্ডিং ক্যাপাসিটি কতটুকু তা নিয়ে ধোঁয়াশা আছে। আমাদের সরকার বিভিন্ন সময় ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীকে প্রচুর সরঞ্জাম কিনে দিয়েছে। তবে সমস্যা হলো—সেইসব সরঞ্জাম ব্যবহার না করার ফলে নষ্ট হওয়ার অবস্থা।

শহরগুলোয় শুধু গলি আর গলি, পুরান ঢাকায় যদি ভূমিকম্প হয়, দেখা যাবে কোনো গাড়িই ঢুকতে পারবে না। তাই স্থানীয় কমিউনিটিকে ক্ষমতায়ন করে কিছু সরঞ্জাম তাদের কাছে রেখে দিলে এবং নিয়মিত চর্চা করলে ভালো হতো। না হয় এই ইস্যুগুলো আমাদের জন্য একসময় কাল হয়ে দাঁড়াবে।

ভূমিকম্প বিষয়ক দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য এবং ভূমিকম্পজনিত দুর্যোগ থেকে জীবন ও সম্পদ রক্ষার প্রয়োজনে সরকারের একটি সুস্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা জরুরি প্রয়োজন। বছরের পর বছর ভূমিকম্পে প্রস্তুতির কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে না। সংকেত পাওয়ার সঙ্গে বিদ্যুৎ, গ্যাস বা পানির লাইন স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বন্ধ করাসহ বিভিন্নভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ তাদের জানমালের নিরাপত্তা ঝুঁকি হ্রাস করেছে।

বাংলাদেশের জন্য এই পদ্ধতি গ্রহণ করা বিচক্ষণতার কাজ হবে। কারণ, অতি সামান্য খরচে এই পদ্ধতি গ্রহণ করা সম্ভব। ভূমিকম্পসহ অন্যান্য দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসে সহায়ক বিষয় পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা এবং ইতিমধ্যে অন্তর্ভুক্ত পাঠ্যক্রমকে হালনাগাদ করা জরুরি। ভূমিকম্পের বিষয়ে সবাইকে সচেতন করা প্রয়োজন। ভূমিকম্প দুর্যোগ বিষয়ে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের গবেষণা বাড়ানো প্রয়োজন।

ভূমিকম্প বিষয়ে সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানের পূর্বপ্রস্তুতি থাকা আবশ্যক। তার জন্য সম্ভাব্য ভূমিকম্প-পরবর্তী সময়ে সঠিকভাবে নিজেকে সেবায় মনোনিবেশ করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণসহ সব প্রতিষ্ঠানের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।

বর্তমান কাঠামোতে ভূমিকম্প বিষয়ক সার্বিক প্রস্তুতি অত্যন্ত নগণ্য বিধায় পূর্বপ্রস্তুতির উন্নয়ন একান্ত আবশ্যক। যেহেতু ভূমিকম্প একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ, একে থামিয়ে রাখা সম্ভব নয়। তাই ভূমিকম্প পূর্বপ্রস্তুতি ও ক্ষয়ক্ষতি রোধে ভূমিকম্প-পরবর্তী শক্তিশালী এবং কার্যকর প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই এই দুর্যোগ মোকাবিলা সম্ভব।

ড. আনোয়ার খসরু পারভেজ ।। গবেষক ও অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

khasru73@juniv.edu