ছোটদের জন্য সাহিত্য রচনাই শিশুসাহিত্য। হতে পারে গল্প, ছড়া, কবিতা, উপন্যাস, জীবনী, জীববৈচিত্র্য এবং আরও অন্যান্য বিষয়। শিশুসাহিত্য বিষয়ের দিক দিয়ে সীমাহীন। কিন্তু প্রকাশের ভঙ্গি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভাষা, বাক্য গঠন, শব্দশৈলী, বিষয় নির্বাচনে সতর্ক থাকতে হয়। এটি শিশুর মনোজগত স্পর্শ করছে কিনা সে বিষয়টিও বিবেচ্য। এসবের ওপর ভিত্তি করেই শিশুসাহিত্য গড়ে উঠেছে বড়দের কলমে।

বাংলা শিশুসাহিত্য যখন আক্ষরিক অর্থে অবস্থান তৈরি করলো সে সময়কার শিশুদের মনোজগত আর আজকের দিনের শিশুমনোজগত এক নয়। আজকের শিশু-কিশোরদের কাছে বই-ই জ্ঞান আহরণ ও বিনোদনের একমাত্র সঙ্গী নয়। টিভি-কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট সবকিছু হাতের নাগালে। বদলে যাওয়া সময়ের এই রূপময় আলোয় সে সমাজ গড়ে উঠছে সেখানে শিশু-কিশোরদের মনোজগতেও ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষণীয়। ওদের অনুভবে জেগেছে নতুন রঙ। এই রঙের ছোঁয়ায় বাংলা শিশুসাহিত্য আঙ্গিকের নতুনত্বে, বিষয়ের অভিনবত্বে কতটা গ্রহণীয় হয়ে উঠছে, এই প্রশ্ন সামনে এসে দাঁড়ায়। প্রশ্ন যখন এসেছে উত্তরও খুঁজতে হবে। আর খুঁজতে গিয়ে ভবিষ্যতের শিশুসাহিত্যের চেহারাটাই কেমন হবে তা নির্ণয় করা জরুরি।

শিশু-মনোবিজ্ঞানের তত্ত্ব বিশ্লেষণ করার সক্ষমতা একজন শিশুসাহিত্যিকের অপরিহার্য শক্তি। এই শক্তির গুণে শিশুসাহিত্যিকরা হলেন শিশু মনোজগতের ভাষ্যকার। শিশুদের প্রাণের কথা, কল্পনার কথা, কৌতূহলের কথা, আনন্দের কথা কিংবা অজানাকে জানার যে আগ্রহ সে সব আগ্রহের কথা শিশুসাহিত্যিকরা ভাষার প্রাচুর্য দিয়ে যে ভঙ্গিটি প্রকাশ করেন উনিশশতকের গোড়ার দিকে তা-ই হয়ে উঠলো শিশুসাহিত্য।

বাংলা শিশুসাহিত্য যখন আক্ষরিক অর্থে অবস্থান তৈরি করলো সে সময়কার শিশুদের মনোজগত আর আজকের দিনের শিশুমনোজগত এক নয়। আজকের শিশু-কিশোরদের কাছে বই-ই জ্ঞান আহরণ ও বিনোদনের একমাত্র সঙ্গী নয়। টিভি-কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট সবকিছু হাতের নাগালে। বদলে যাওয়া সময়ের এই রূপময় আলোয় সে সমাজ গড়ে উঠছে সেখানে শিশু-কিশোরদের মনোজগতেও ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষণীয়।

শিশুসাহিত্যের পরতে পরতে যুক্ত হয়েছে স্বর্ণালী লেখা। বাংলা ভাষা হয়েছে বর্ণিল। লেখকরা তৈরি করেছেন স্বর্ণ ভাণ্ডার। যারা এ ভাণ্ডারকে গড়ে তুলেছেন তাদের নাম বলতে গেলে দীর্ঘ তালিকা আপনাআপনি চলে আসে। যাদের হাতে শিশুদের জন্য গল্প-ছড়ার বিশাল ভুবন তৈরি হয়েছে। বিজ্ঞান, প্রকৃতি, জীববৈচিত্র্য, অভিযান কাহিনি, গোয়েন্দা কাহিনি, রোমাঞ্চকর কাহিনি, সাইন্স ফিকশন- নানান বিষয়ে রচিত হয়েছে বাংলা শিশুসাহিত্য। শিশুসাহিত্যের দীর্ঘ ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখতে পাই, বাংলাদেশে গত পাঁচ দশকের শিশু-কিশোর উপযোগী লেখায় গুণগত পরিবর্তন এসেছে।

পঞ্চাশ-ষাটের দশকে ছড়া-কবিতায় প্রকাশ পেয়েছে রবীন্দ্রভাবনার উত্তরাধিকার। যেখানে প্রভাব পড়েছে লোকজধারা। সত্তরের দশকে দেখা গেছে অন্ত্যমিলগত নতুন ছন্দ খোঁজার প্রবণতা এবং আশির দশকে সমসাময়িক ঘটনার আলোকে জীবনবোধের ব্যাঙ্গাত্মক ভঙ্গি। সেই সঙ্গে বিষয়বৈচিত্র্য। নব্বইয়ের ছড়ায় পাওয়া গেছে রাজনৈতিক ধারার স্বাতন্ত্র্যপূর্ণ নির্মাণ কৌশল। ছড়ায় যেমন উঠে এসেছে সমাজচিত্র, তেমনি শিশু-কিশোর উপযোগী কবিতায় উঠে এসেছে বৈচিত্র্যময় পরিবেশ-প্রকৃতির ছবি। দশকওয়ারী বিবেচনায় শিশুদের উপযোগী ছড়া-কবিতায় যে উজ্জ্বলতম প্রকাশভঙ্গি বিভিন্ন লেখায় পাওয়া গেছে, তা এখনো বহমান।

রকমারি গল্পের ঝলক আছে শিশুসাহিত্যে। এর প্রাণশক্তি দিয়েছেন উপেন্দ্রকিশোর রায়, যোগীন্দ্রনাথ, অবনীন্দ্রনাথ, সুকুমার রায়। জীবনের কথা, মায়া-মমতার কথা, বড় হয়ে ওঠার কথা- সব কথাই বর্ণিল হয়ে উঠেছে শিশু-কিশোরদের গল্পকথায়। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জসীমউদদীনের হাতে সেই কথাগুলো আরও মুক্তোদানা হয়ে ছড়িয়েছে পাঠকের প্রাণে-প্রাণে। এসব গল্পে নীতি-নৈতিকতা ও মূল্যবোধের চরম উপদেশগুলো অতিমাত্রায় অনিবার্য হয়ে উঠেছে কখনো-কখনো। কল্পনার তুমুল আলোড়ন যেমন আছে, তেমনি এসব গল্পে আছে অবিশ্বাস্য ফ্যান্টাসি জগতের কাণ্ডকীর্তি। না দেখা ভূতের হাতছানিও গল্পের জগতে কখনো ভয় যুগিয়েছে, আবার ভূতকে তাড়িয়ে দেবার বাসনা নিয়ে শিশু-নায়করা ঘোড়ায় চড়ে ছুটেছে টগবগিয়ে। কত রাজকুমার, ডালিমকুমার ছুটে বেড়িয়েছে গুপ্তধনের সন্ধানে। লালপরি-নীলপরিরা শিশু-কিশোরদের জন্য তৈরি করে দিয়েছে স্বপ্নময় ভুবন। এ সব নিয়েই সমৃদ্ধ হয়েছে শিশুসাহিত্যের ভাণ্ডার।

যুগ পাল্টে যায়। পাল্টে যায় সময়। কিন্তু জীবনের অনুভূতিগুলো একই থাকে। শুধু বদলে যায় বলার ভাষারীতি, বদলে যায় উপস্থাপনার কৌশল আর বিষয়-বৈচিত্র্য। তাই তো আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসও হয়ে উঠল শিশুসাহিত্যের গল্পের বিষয়। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে শিশু-কিশোরদের গল্পের ভাষায় ও আঙ্গিকে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে মুক্তিযুদ্ধের কথা, একাত্তরের কথা, স্বাধীনতার কথা, দেশপ্রেমের কথা। সেই সঙ্গে আছে ছোটদের মনোজগৎ স্পর্শ করা হাস্যরস, গোয়েন্দা, অ্যাডভেঞ্চার কাহিনি। বিজ্ঞান, প্রকৃতি, জীববৈচিত্র্য, অভিযান কাহিনি, রোমাঞ্চকর কাহিনি- নানান বিষয়ে রচিত হয়েছে বাংলা শিশুসাহিত্য। হালে যুক্ত হয়েছে সায়েন্স ফিকশন। এগুলো সমৃদ্ধ করছে আজকের তরুণ গল্প লিখিয়েরা।

শিশুসাহিত্যের গল্পগুলো কীর্তিমান লেখকদের হাতে যেমন স্বর্ণালি শোভা এনেছে, তেমনি তরুণদের হাতেও সম্ভাবনার দোলা দেখিয়েছে। শিশুসাহিত্যের কপাল এতই স্বর্ণছোঁয়া যে, যতই দিন গড়িয়েছে, ততই এটি পূর্ণ হয়েছে লেখার শক্তিতে, জীবনকে দেখার অভিজ্ঞতায়। শিশুসাহিত্যের বাতিঘর যাঁরা; যাঁদের হাতে দিক রচিত হয়েছে, ভাষা রচিত হয়েছে সেইসব কীর্তিমান লেখকদের লেখাতেও আছে জীবনের কথা, সময়ের কথা, সমাজের কথা।

সত্তরের দশকে দেখা গেছে অন্ত্যমিলগত নতুন ছন্দ খোঁজার প্রবণতা এবং আশির দশকে সমসাময়িক ঘটনার আলোকে জীবনবোধের ব্যাঙ্গাত্মক ভঙ্গি। নব্বইয়ের ছড়ায় পাওয়া গেছে রাজনৈতিক ধারার স্বাতন্ত্র্যপূর্ণ নির্মাণ কৌশল।

যুগের প্রয়োজনে, সময়ের নতুন স্রোতে, বদলে যাওয়া জীবনযাপনে শিশুসাহিত্যে যে পরিবর্তন ঘটা দরকার তা হয়নি। সময় উপযোগী কোন ভাষা তৈরি হয়নি। ঠাকুরমার ঝুলির ডালিম কুমার, সাত ভাই চম্পা কিংবা উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর পান্তাবুড়ি, টুনটুনির গল্প যে আলোড়ন তুলেছিল শিশুসাহিত্যের সূচনালগ্নে সেই আলোড়ন তুলতে হলে এখনকার শিশুসাহিত্যিকদের কর্তব্য হবে নতুন সময়ে নতুন ভাষা তৈরি করা। বিজ্ঞানের যুগে ভূত-পেত্নির গল্প খুবই বেমানান। রাজনীতির গরম হাওয়া শিশুদের মনে যদি তাপ তৈরি করতে পারে, রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে শিশুর চলার পথ বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে কিংবা বাবার পেরেশানি মুখ যদি শিশুর মনকেও বিষণ্ণ করে তুলতে পারে তাহলে শিশুদের কথা লিখতে গিয়ে বর্তমান জগৎ সংসারের কথা উঠে আসতে পারে শিশুসাহিত্যের পাতায় পাতায়। দেশপ্রেম ও মানবিক মূল্যবোধগুলো জাগিয়ে দেওয়াই শিশুসাহিত্যিকদের লেখার অনিবার্য বিষয় বলে মনে করি। এই জনপদের মানুষ, প্রকৃতি ও তাদের সংস্কৃতির সত্ত্বা যেন শিশু কিশোরদের জন্য রচনার কল্পদৃশ্যে বাস্তব হয়ে ওঠে। ফুল, পাখি, পতঙ্গ, প্রাণি, গুল্ম, লতা, বৃক্ষ, নদী, প্রান্তর, ফসলের ক্ষেত, গান, কিচ্ছা, পালাসহ বাংলাদেশের এক নিবিড় সত্তা যেন পাঠ করতে করতে শিশু-কিশোর পাঠকরা সোনার বাংলার কাব্যময় সৌন্দর্য্য আবিষ্কার করার মধ্য দিয়ে অর্জন করতে পারে এক নতুন সৌন্দর্য্যবোধ তথা জীবনবোধ। এই জীবনবোধের নাম দেশাত্মবোধ।

আমরা স্বাধীন দেশের লেখক। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার। এই অহংকার নিয়েই স্বাধীন দেশে জন্ম নেয়া আজকের শিশুরা দেশটাকে গড়বে। আর তাইতো দেশ গড়বার প্রেরণামূলক লেখা ছড়িয়ে দিতে হবে শিশুদের মনে। এই দায়িত্বটি শিশুসাহিত্যিকদের ওপরই বর্তায়। কারণ শিশুসাহিত্যিকরা কল্পনার রঙে বিজয়ের গল্প শোনান। তারাই শিশুমনে জ্বালাতে পারেন আলোর প্রদীপ। শিশুসাহিত্যের দু’শ বছরের ইতিহাসে যে আলো ছড়িয়ে আছে সেখানে সমাজ বিনির্মাণের কথাও আছে। নৈতিকতার কথা আছে। আছে দেশপ্রেমের কথা। সহমর্মিতার মধ্য দিয়ে শান্তিময় বৈষম্যহীন সমাজ গড়বার কথা। আজকের শিশুসাহিত্যিকরা এই বোধের জায়গা থেকে জীবনের দেখা নতুন অভিজ্ঞতাগুলো তুলে ধরবেন লেখার ছন্দে-গদ্যে। আর এভাবেই তৈরি হতে পারে শিশুসাহিত্যের নতুন বাঁক, নতুন পথ। তৈরি হতে পারে শিশুদের জন্য রঙিন স্বপ্নময় জগৎ। পাঠকসমাজের কাছে আজকের শিশুসাহিত্যিকদের থাকতে হবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

শিশুসাহিত্য বিকাশে লেখকের লেখার সঙ্গে প্রকাশনার বিষয়টিও জড়িত। একটা মানসম্পন্ন প্রকাশনা শিশুর কল্পনা জগৎকে খুলে দেয়। সহায়তা করে বুদ্ধি বিকাশেও। প্রকাশনায় ব্যবহৃত অক্ষর, শব্দ, বাক্য, কিংবা রং ছড়ানো ছবি- সব কিছুই শিশুকে আকর্ষণ করে; একান্ত নিজের করে ভাবতে শেখায়। খুলে দেয় শিশু অন্তর্চোখ। লেখা ও ছবির গুণে যে কোনো প্রকাশনাকে নান্দনিক করে তোলা সম্ভব। সেক্ষেত্রে শিশুদের প্রকাশনায় লেখককে যেমন আন্তরিক থাকতে হয় তেমনি ছবি আঁকিয়ে বা ইলাস্ট্রেটরকেও শিশুমন বোঝার ক্ষমতা থাকতে হবে।

শিশু যে বয়সেরই হোক না কেন, প্রত্যেক শিশুরই নিজস্ব একটা ব্যক্তিত্ব আছে। তার মানসিকতা কৌতূহল, আগ্রহ এবং বুদ্ধিদীপ্ত আচরণ সম্পর্কে লেখকের যেমন ঘনিষ্ঠ পরিচয় থাকতে হয় তেমনি অঙ্কন শিল্পীরও সমাজকে দেখার ব্যাপক অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কঠিন ভাষা প্রয়োগের কারণে যে কোনো লেখা শিশুমনে বিরক্তি তৈরি করে। পাশাপাশি খাপছাড়াগোছের ছবি বা ইলাস্ট্রেশনও শিশু উপযোগী প্রকাশনাকে ম্লান করে দিতে পারে। আর তাই শিশুদের জন্য যে কোনো প্রকাশনায় সহজ ভাষা প্রয়োগ, যৌক্তিকভাবে ছবির ব্যবহার এবং ছবির সঙ্গে রঙের মিশ্রণ হতে হবে সঠিকভাবে।

ছোটদের প্রকাশনা জগৎ আঙ্গিকের নতুনত্বে এবং প্রযুক্তির ব্যবহারে হয়ে উঠছে সহজ। সিটিপি অর্থাৎ কম্পিউটার টু প্লেট-এর মাধ্যমে ছাপা হচ্ছে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে সরাসরি ডেক্টটপ পাবলিশিং থেকে ইমেজ বা টেক্সটের আউটপুট বের হচ্ছে ছাপাখানার প্লেট হিসেবে। কাগজেও এসেছে নানান বৈচিত্র্য-অপসেট পেপার, ম্যাট পেপার, আর্ট পেপার, পোস্টার পেপার, গ্লোসি পেপার। প্রকাশনায় যুক্ত হয়েছে লেমিনেশন, ম্যাট লেমিনেশন, স্পট, অ্যাম্বুশ, বোর্ড বাইন্ডিং, পিন বাইন্ডিং, জুস বাইন্ডিং ইত্যাদি কারিগরি উপকরণ। বাঁধাইয়ের ক্ষেত্রে হাতের বদলে যন্ত্র ব্যবহৃত হচ্ছে। এতোসব পরিবর্তনে ছোটদের উপযোগী প্রকাশনার ক্ষেত্রে নতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা দরকার। আকারে-আকৃতিতে বিষয়-বৈচিত্র্যে ছোটদের উপযোগী যে প্রকাশনাই হোক না কেন, এতে যথাযথ অক্ষর বিন্যাস, ছবি আঁকা, রঙের প্রয়োগ শিশুর মনোজগৎকে স্পর্শ করতে পেরেছে কিনা তা বিবেচনায় রাখা জরুরি। ভালোমানের আকর্ষণীয় প্রকাশনা নতুন পাঠক তৈরিতে সহায়ক।

শিশুসাহিত্যের লেখক-প্রকাশকদের যৌথ প্রয়াসে আরও নান্দনিক হয়ে উঠুক আগামী দিনের শিশুসাহিত্য।

আনজীর লিটন ।। ছড়াকার, শিশুসাহিত্যিক

anjirlitonbd@gmail.com