নীলক্ষেতের ফুটপাত ঘুরে বই কিনে শাহবাগে যাচ্ছিলাম। ছুটছে রিকশা। চারুকলার সামনে আরও কিছু বই দেখে নামতে ইচ্ছে হলো। রিকশা চালককে বললাম, মামা আপনি একটু দাঁড়াবেন? আমি ৫-১০ মিনিটের মতো বই দেখব। মাথা নেড়ে সায় দিলেন তিনি। একটু হেসে রিকশা থামালেন। বই দেখা শেষে তাকিয়ে দেখি, মামা আরাম করে বসে বই পড়ছেন। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পল্লীসমাজ। বললাম, নিবেন? বললেন, আমার ছোট ভাই বই পড়ে। ওর জন্য নিই। বলেই দাম পরিশোধ করতে যাচ্ছিলেন। মনে হলো, বইটা আমি উপহার দিতে পারি। তার অনুমতি নিয়ে আমি দাম পরিশোধ করলাম। বললাম, আমার পক্ষ থেকে উপহার।

দুই দশক আগের এই ঘটনা এখনো স্মৃতির আরশিতে দোল খায়। আমি দেখতে পাই, চারুকলার রাস্তায় পরিশ্রান্ত মানুষটি রিকশায় বসে গভীর মনোযোগ দিয়ে বই পড়ছে। রাস্তায় যেতে যেতে এরকম দৃশ্য আরও একবার দেখেছিলাম। ঘটনাচক্রে সেখানেও হাজির ছিলেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। দুবারই আমার মনে হয়েছিল, পুরনো লেখকদের মধ্যে আর কেউ কি এভাবে পঠিত হন? ধরা যাক, বঙ্কিমচন্দ্র কিংবা রবীন্দ্রনাথ? আমার কাছে মনে হয়, জবাব জলবৎ তরলং। মোটেও না। তারা কেউই এভাবে পঠিত হননি, পঠিত হন না। কিন্তু শরৎচন্দ্র পঠিত হয়েছেন। এখনো কি তিনি এভাবেই পঠিত হন? সম্ভবত জবাব হবে নেতিবাচক।

সত্যি বলতে কি, বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ কিংবা শরৎচন্দ্রের পাঠক পাওয়া কঠিন ব্যাপার। সাহিত্যের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও গবেষকের বাইরে কজন পাঠক এখনো শরৎচন্দ্রের লেখা পড়ার আগ্রহ বোধ করেন, সে বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করি। পাঠকের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা বিরাটভাবে বদলে গিয়েছে, তৈরি হয়ে গিয়েছে ভাষা ও পটভূমির দূরত্ব।

একশ বছর আগে সদ্য তরুণ পাঠকের ‘পাঠক’ হিসেবে হাতেখড়ি হতো শরৎচন্দ্রের বই দিয়ে। বাড়ির গৃহিণীরা বই খুলে শরৎ পড়তে পড়তে দুপুর বেলার বিশ্রাম ও আড্ডায় মেতে উঠতেন।

আজ হয়তো কল্পনা করাও মুশকিল যে, শরৎচন্দ্র ছিলেন বাংলা ভাষার প্রধান জনপ্রিয় লেখক। কেউ কেউ হয়তো ভাবতে পারেন, এ তথ্য আমি কোথায় পেলাম। আমার বক্তব্যের সমর্থনে কোনো গবেষণা-তথ্য কি আছে? শরতের কোন বই কত কপি বিক্রি হয়েছে, তার হিসাব কি আমার কাছে আছে? নাহ, নেই। কিন্তু শরতের এই হিসাবে রক্ষিত আছে বাংলার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস।

একশ বছর আগে সদ্য তরুণ পাঠকের ‘পাঠক’ হিসেবে হাতেখড়ি হতো শরৎচন্দ্রের বই দিয়ে। বাড়ির গৃহিণীরা বই খুলে শরৎ পড়তে পড়তে দুপুর বেলার বিশ্রাম ও আড্ডায় মেতে উঠতেন। সমাজের সংস্কার, রূপান্তর ও কল্যাণ নিয়ে যারা ভাবতেন তাদের জন্য আশ্রয় হয়ে উঠেছিলেন শরৎচন্দ্র। সমাজের নিম্নবর্ণ ও বর্গের মানুষের জীবনের প্রতিধ্বনি হিসেবে গৃহীত হয়েছিল শরতের সাহিত্য।

আজকের পাঠকের কাছে শরৎচন্দ্র অবশ্যপাঠ্য বা দৈনন্দিন পাঠ্য লেখক হিসেবে অনুপস্থিত—এই বাস্তবতা মেনে নিয়েই শরতকে চিহ্নিত করতে হবে। আমরা অন্ততপক্ষে দুভাবে তার দিকে তাকাতে পারি; প্রথমত, তাকে পাঠ করতে পারি, তার কালের প্রেক্ষাপটে রেখে; দ্বিতীয়ত, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসের রূপান্তরিত পাটাতনে স্থাপন করে ভাবতে পারি এ কালের সাহিত্যে শরতের প্রাসঙ্গিকতা।

নিজের কালে শরৎচন্দ্র নিঃসন্দেহে জনপ্রিয় এক ‘সেলিব্রিটি’ লেখক ছিলেন। জেনে বুঝেই ‘সেলিব্রিটি’ শব্দটি আমি ব্যবহার করছি। এই শব্দ ব্যবহার করা যায় রবীন্দ্রনাথ, নজরুল প্রসঙ্গেও। যদিও রবীন্দ্রনাথ কখনোই জনপ্রিয় লেখক ছিলেন না। কিন্তু শরৎচন্দ্র পাঠকের দ্বারা গৃহীত ও উদযাপিত হয়েছেন।

পাঠকের মনে হয়েছে, অত্যন্ত দরদ দিয়ে লেখক ঘরের কথা বলছেন। পাঠক ভেবেছেন, যে গ্রামে তিনি বাস করেন, জাতিভেদ যেখানে সবাইকে শেকলে বাঁধে, অভাব যেখানে নিত্যসঙ্গী, মানুষের জীবন যেখানে বিধবার সাদা থানের মতো বিবর্ণ সে গ্রামের গল্পই লিখছেন শরৎ।

অক্ষর জ্ঞানসম্পন্ন নবীন বিধবাটি দেখতে পেয়েছে, হায়, এ তো তারই জীবনের চিত্রিত বেদনা। বাউণ্ডুলে লোকটি ভেবেছে আমিই হয়তো উঠে এসেছি শরতের মায়াবী অক্ষর হয়ে। শরৎ পৌঁছে গিয়েছিলেন পাঠকের সহজ হৃদয়ে। শিল্প-সাহিত্যে ‘সবার’ হয়ে ওঠা দুঃসাধ্য, কিন্তু কেউ কেউ হতে পরেন ‘অনেকের’; শরৎচন্দ্র হতে পেরেছিলেন অনেকের।

অভাব যেখানে নিত্যসঙ্গী, মানুষের জীবন যেখানে বিধবার সাদা থানের মতো বিবর্ণ সে গ্রামের গল্পই লিখছেন শরৎ।

ঔপনিবেশিক ইতিহাসে সাহিত্য হয়ে উঠেছিল শিক্ষিত শ্রেণির চর্চার মাধ্যম। গণমানুষের সঙ্গে ক্রমশ বাড়ছিল এর দূরত্ব। সামাজিক স্তর ও শ্রেণিসমূহের অনেকেই উপন্যাস বা ছোটগল্পে আখ্যানে প্রবেশ করতে পারেনি। ভাষা, সৃজন কৌশল ও মতাদর্শের দূরত্ব গণমানুষকে বসায়নি পাঠক বা শ্রোতার আসনে।

ভাষার দুর্গ দিয়েই অগণিত পাঠককে দূরে রেখেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি উপন্যাসেও গণমনস্তত্ত্বের উপস্থাপনা ঘটেনি। তার অধিকাংশ ছোটগল্প ব্যক্তি মনের ব্যবচ্ছেদে আগ্রহী; সমষ্টির আয়নায় ব্যক্তিকে দুর্দান্তভাবে চিনতে সহায়ক হলেও রবীন্দ্রনাথের কথাসাহিত্য সমাজ-সংস্কৃতি বাহিত দুঃসহ যন্ত্রণার সহজ দৃশ্যায়ন নয়।

অন্যদিকে, শরৎচন্দ্র দুইভাবে মানুষের কাছাকাছি এলেন। প্রথমত, ভাষাসূত্রে। দ্বিতীয়ত, সামাজিক উপস্থাপনা দিয়ে। এই দুই গুণ তাকে জনপ্রিয় করেছে। তার আগে এত আন্তরিক আঙুল দিয়ে আর কেউ কলম ধরেননি, কেঁদে বুক ভাসাবার আয়োজন করেননি। সমাজকে বদলাতে হবে এ নিয়ে তোড়জোড় করেননি। সমাজের সঙ্গে পেরে না ওঠা মানুষের দীর্ঘশ্বাসকে নোনা জলের ঢেউয়ে বান ডেকে আনেননি। শরৎচন্দ্র ওই বানে বইয়ে দিয়েছেন সহজ বয়ান। শব্দ ও বাক্যের গাঁথুনি বাঁধা পড়েনি জটিল সংস্কৃত শব্দের কংক্রিটে। ঘনীভূত আবেগ দিয়ে সহজ কথাটি সহজভাবেই বলেছেন।

আমরা যদি প্রশ্ন করি, ঔপনিবেশিক ইতিহাসের দীর্ঘ রাজনৈতিক শোষণ এবং উপনিবেশিত বাংলার নিজস্ব সামাজিক ও সাংস্কৃতিক শোষণ—এই দুইয়ের প্রতাপে মানুষের অশ্রুজলের আখ্যানগুলো কোথায়? ব্যক্তির বেদনাগুলো কে লিখেছে? সমষ্টির অসফল উদ্যমগুলোর গল্প কে লিখেছে? আমার মনে হয়, শরতের সাহিত্যে প্রবেশ করলে এই প্রশ্নগুলোর জবাব মেলে। আর তাই রমা, রমেশ, বিরাজ বৌ, মেজদিদি, শ্রীকান্ত, রাজলক্ষ্মী, কিরণময়ী, সাবিত্রীর মতো মানুষরা চেনা মানুষের মতো হাজির হন শরতের গল্প মহলে। এখানেই নিহিত তার জনপ্রিয়তার মর্মসূত্র।

আরও একটি কারণে শরৎচন্দ্র কৌতূহলের সঙ্গে গৃহীত হয়েছিলেন; এটিকে আমি বলব, ভিন্ন জীবন ও সংস্কৃতির প্রতি অভিযান। উপন্যাসের পটভূমি তৈরি করার লক্ষ্যে বঙ্কিমচন্দ্র প্রধানত বেছে নিয়েছেন দূরের ইতিহাস অথবা জনপদ বিচ্ছিন্ন স্থান ইত্যাদি। কিন্তু শরৎচন্দ্র বেছে নিলেন সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন সত্যিকারের কিছু স্থান, কাল ও পাত্র।

শরৎচন্দ্রের কথাসাহিত্য সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সাহিত্যিক ইতিহাসের অংশ মাত্র। ভবিষ্যতের পাঠকও হয়তো এ কারণেই পড়বেন। জানতে চাইবেন কেমন ছিল দুইশ বছর আগে বাংলা? কীভাবে ভেঙে যাচ্ছিল সামন্তবাদী সমাজ কাঠামো?

মূলত সমাজের অধিপতি শ্রেণির কারণেই সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন সেসব মানুষ, সমাজের ভেতরেই প্রান্তিকীকৃত তারা—হোক তারা সাপুড়ে, মরা পোড়ানো ব্যক্তি, দেহজীবী কিংবা ভবঘুরে। শরতের চরিত্রগুলো সত্যি সত্যিই বিচরণশীল এবং বিচরণসক্ষম। ছোট গ্রাম ও শহর থেকে তারা চলে যায় এলাহাবাদ, রেঙ্গুন, কাশী। এই স্থানান্তর ও সঞ্চরণশীলতা উপন্যাসে নিশ্চিতভাবেই গতি সৃষ্টি করে।

বঙ্কিমচন্দ্র যেটি করতে চেয়েছিলেন টানটান কাহিনির মাধ্যমে শরৎচন্দ্র তা করতে সক্ষম হয়েছেন চরিত্র ও ঘটনার নানা মাত্রিক সচলতা সহযোগে। এ কারণে শরৎচন্দ্রের উপন্যাস পাঠককে বাড়তি অভিজ্ঞতার জোগান দেয়। তার ব্যক্তিগত বোহেমিয়ান স্বভাব ও অভিজ্ঞতা উপন্যাসের ঘটনা, চরিত্র ও পটভূমিতে বৈচিত্র্য সৃষ্টি করেছে। বাংলা সাহিত্যে তাই অক্ষয় কীর্তি হয়ে থেকে গেল ইন্দ্রনাথ-শ্রীকান্তের মতো মানুষ। 

এ কথাও সত্য যে, সমাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করে শরৎচন্দ্র সমাজেই ফিরে গেছেন। সনাতন হিন্দু সমাজের প্রতি তার টান চোরাগোপ্তা ছিল না মোটেই। প্রত্যাখ্যান ও গ্রহণের টানাপোড়েনে আহত মানুষের জন্যও অনুভব করেছেন একই ধরনের মায়া। সমাজ ও সংস্কৃতির বাহাসে এটা তার নৈতিক দ্বিধা—সাহিত্যিক করণকৌশলকে কখনো কখনো যা বিপন্ন করেছে। সে দায় ছিল লিয়েফ তলস্তয়ের কাঁধেও; বাইবেলীয় নৈতিকতায় মাথা নত করেছিলেন তিনি। কিন্তু গল্পকথকের শর্ত তিনি পূরণ করতে সক্ষম হয়েছেন। লেনিনের চোখে তিনিই হয়ে উঠেছিলেন ‘রুশ সমাজের দর্পণ’। বাংলার সৌভাগ্য এই যে, শরৎচন্দ্র বাঙালি সমাজের দর্পণ হতে পেরেছিলেন।

এসব সত্ত্বেও বহু যুগের এ পারে এসে আমাদের মনে সক্রিয় এক জিজ্ঞাসা, এ কালের বাঙালির কাছে শরৎচন্দ্র কি এখনো প্রাসঙ্গিক? এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে প্রথমেই যেটি ভাবতে হবে সেটি এই, ‘এ কালের বাঙালি’ কোনো একস্বরিক বর্গ নয়; বয়স, শ্রেণি, ধর্ম, অঞ্চল, পাঠ রুচির ভিন্নতায় এই বর্গ বহুস্বরিক। এ কারণে জবাবও বহুস্বরিক।

এক পাঠকের কাছে যিনি ঘোরতরভাবে প্রাসঙ্গিক, অন্য পাঠকের কাছে তিনিই অপ্রাসঙ্গিক ঠেকতে পারেন। তবে সমাজের উপরি কাঠামো ও গভীর কাঠামোয় চোখ ফেরালে এটুকু নিশ্চিতভাবেই স্পষ্ট হয় যে, এ কালের বাঙালি বাস করছে পুঁজিবাদী এক বিশ্বায়িত ভুবনে। সামন্ত ব্যবস্থার সামাজিক সংকটগুলো এখন মুখ্য সংকট নয়। সমষ্টি বা ব্যক্তির জীবনে বর্ণ ও জাতিভেদের মতো সমস্যাগুলো জটিল কোনো ঘূর্ণাবর্ত তৈরি করছে না।

বিধবার জীবনে প্রশ্নাতীত সমাধান কেবলই ব্রত, শুদ্ধি কিংবা তীর্থযাত্রা নয়। শরতের উপন্যাসের পটভূমি কোনোভাবেই এ কালের পাঠকসমাজকে উদ্দীপিত করে না। দুই সমাজের দূরত্ব এতটাই প্রকট হয়ে গেছে যে, পুরানো সমাজের প্রাসঙ্গিকতা বর্তমানে হারিয়ে গিয়েছে।

আজকের পাঠকের কাছে, শরৎচন্দ্রের কথাসাহিত্য সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সাহিত্যিক ইতিহাসের অংশ মাত্র। ভবিষ্যতের পাঠকও হয়তো এ কারণেই পড়বেন। জানতে চাইবেন কেমন ছিল দুইশ বছর আগে বাংলা? কীভাবে ভেঙে যাচ্ছিল সামন্তবাদী সমাজ কাঠামো? এই সমাজ কীভাবে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছিল গ্রামীণ সমাজের হৃদয়? এই সমাজই আবার কী করে ছিল সমাজ বন্ধনেরও মাধ্যম? গ্রামীণ ও শহুরে মধ্যবিত্ত কীভাবে সাড়া দিয়েছিল সামাজিক সংস্কারগুলোতে?

ঐতিহাসিক এইসব প্রশ্নের ফয়সালা ইতিহাসে একরকমভাবে হয়ে আছেই। কথাসাহিত্যিক আখ্যানে-ব্যাখ্যানে গেঁথে দেন ইতিহাসের মালমসলা। কাহিনির ভাঁজে ভাঁজে পুরে দেন সংস্কৃতির উপাদান। কথাসাহিত্য হয়ে ওঠে সাংস্কৃতিক ইতিহাসের সর্বভুক এক শিল্প দলিল।

পৃথিবীর অন্য অনেক ভাষার তাৎপর্য দীপ্ত কথাসাহিত্যিকদের মতো করে শরতের সাহিত্যও হয়ে উঠেছে ইতিহাসের নথি। এই নথি কেবল আজকের পাঠকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়, ভবিষ্যতের পাঠকের জন্যও বহন করবে জরুরি বার্তা। আর যারা সাহিত্যের আরশিতে বাস্তবতাকে প্রতিফলিত করার তীব্র বাসনা বোধ করেন, তাদের জন্য শরৎচন্দ্র হতে পারেন সৃষ্টিশীল প্রেরণা; কারণ অভিজ্ঞতাকে শিল্পে পরিণত করার কৌশল তিনি জানতেন। তার হাতে ছিল বাস্তবতাকে সূক্ষ্মভাবে দেখার দুরন্ত দূরবীন, সেখানে চোখ পেতে উন্মোচিত হতে পারে বিস্তৃত জীবনের পটরেখা।

সুমন সাজ্জাদ ।। অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়