আ.লীগের অধীনে যারা নির্বাচনে যাবে তারা জাতীয় বেঈমান : নুর
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেছেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সময় ঘোষণা দিয়েছিলেন, এরশাদের অধীনে যে নির্বাচনে যাবে সে জাতীয় বেঈমান। তারা বেঈমান হয়েছিল, তা আপনারা দেখছেন। আমি মনে করি, এ সরকারের অধীনে আগামীতে যারা নির্বাচনে যাবে, তারা জাতীয় বেঈমান হবে।
বুধবার (০২ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে জেএসডি আয়োজিত ‘২ মার্চ ঐতিহাসিক পতাকা উত্তোলন দিবসের ৫১তম বছর ও বাঙালির তৃতীয় জাগরণের মাইলফলক’ শীর্ষক এক স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
সব রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্যে নুর বলেন, আপনারা সবাই বলেছেন এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবেন না। এ সরকার প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দলীয়করণ করেছে। সুতরাং আপনারা যদি আবার ইনিয়ে-বিনিয়ে নির্বাচনে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন তাহলে আপনারা ঘৃণার পাত্র হবেন।
তিনি বলেন, আমরা একটা জায়গায় স্থির আছি। স্থির থাকতে চাই। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। এ সরকারকে ভোটার নিয়ে আর ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না।
বিজ্ঞাপন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের ওপর নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে নুর বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মানবাধিকার নিয়ে লেকচার দেয়। কিন্তু সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা আধুনিক দাসত্বের মতো জীবনযাপন করছে সে বিষয় নিয়ে কিছু বলে না।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা সংগঠন ‘স্টুডেন্ট এগেইনেস্ট টর্চার’ তারা একটা প্রতিবেদন দিয়েছে। করোনার পরে গত ৫ মাসে ১৮ জন শিক্ষার্থী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। একটা ঘটনাতেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ছাত্রদের কি শিখাবে, বলেন। ছাত্ররা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে ছাত্রলীগ দ্বারা। আর তারা ছাত্রলীগকে লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলছে।
স্মৃতিচারণমূলক সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, গণফোরামের সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।
এমএইচএন/এসএম