কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দুর্ভাগ্যবশত বেঁচে থাকার পরেও সেই সম্মান পাইনি। সুবর্ণজয়ন্তী পালন করা হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। কিন্তু যাদের সম্মান দেওয়ার কথা, তা তাদের দেওয়া হয়নি।

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে জেএসডি আয়োজিত ‘২ মার্চ ঐতিহাসিক পতাকা উত্তোলন দিবসের ৫১তম বছর ও বাঙালির তৃতীয় জাগরণের মাইলফলক’ শীর্ষক এক স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপিকে নিয়ে গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেনের জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যাওয়া নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন কাদের সিদ্দিকী। তিনি বলেন, সবশেষে আমি কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের গিয়েছিলাম। আমি মনে করেছিলাম, কামাল হোসেনের মত বর্ষীয়ান একজন নেতা নেতৃত্ব করবেন। সারা দেশ তার পিছনে ঝাঁপিয়ে পড়বেন। আর তার যে আন্তর্জাতিক পরিচয়, তাতে সারা বিশ্ব তার পিছনে থাকবেন। ডা. কামাল হোসেনই দাঁড়ালেন না। আর তার পিছনে কে দাঁড়াবে? কেউ দাঁড়ায়নি।

তিনি বলেন, বিএনপি মনে করেছিল, ভোটে দাঁড়ালেই সব হয়ে যাবে। সারাদেশের মানুষ তাদের ভোট দেবে। তারা মনে করলো, জামায়াত আছে, ক্যাডারভিত্তিক একটা দল। তাদের ক্যাডাররা সব ভাসিয়ে দেবে। আমাদের কিছু করতে হবে না। জামায়াত ভাবলো এত বড় দল বিএনপি। বিএনপি সব করে ফেলবে। আমাদের আবার কী কাজ? মাঝখান দিয়ে কয়েকটি সিট আমাদের নিয়ে নেওয়া। আলোচনা হলো- এ জোটে জামায়াত নেই, থাকলোও না। কিন্তু বেনামিতে ২৭-২৮ সিট তাদের ছেড়ে দেওয়া হলো। ঐক্যজোট ভাঙলো, দেশের মানুষ বোকা হলো। আমার মনে হয়, এমন দ্বিচারিতা করলে কিয়ামত পর্যন্ত কিছু হবে না।

স্মৃতিচারণমূলক সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জেএস‌ডির সভাপ‌তি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর প্রমুখ।

এমএইচএন/আইএসএইচ