আহসান আদেলুর রহমান (বাঁয়ে) ও আশিক আহমেদ

জাতীয় পার্টির (জাপা) ভাইস চেয়ারম্যান এবং সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান এবং তার ভাগ্নে পার্টির যুগ্ম মহাসচিব আশিক আহমেদের মধ্যকার ‘পারিবারিক ঝগড়ার’ জেরে মামাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ মে) জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এক চিঠিতে আদেলুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।

কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়, ‘গত ৯ মে বেলা ১টা ৩০ মিনিটে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে দোতালায় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব আশিক আহমেদের সঙ্গে আপনি (আদেলুর) যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছেন, তা দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী এবং এ কারণে আপনাকে কেন জাতীয় পার্টির সব পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে না, তা আগামী ৩ তিন দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় দপ্তরে লিখিতভাবে জানানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।’

জাতীয় পার্টির একটি সূত্রে জানা গেছে, আদেলুর রহমান ও আশিক আহমেদ সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে। জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব প্রয়াত জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর প্রথম স্ত্রী প্রয়াত মেহেজেবুন্নেসা চৌধুরীর ভাই এবং জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বোনের ছেলে আদেলুর রহমান। আর আশিক আহমেদ বাবলুর ছেলে। এ দুইজনের মধ্যে পারিবারিক বিষয়ে মনোমালিন্য চলছে। ওই দিন (৯ মে) পারিবারিক কারণে তাদের দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। 

অভিযোগ রয়েছে, আদেলুর রহমান জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে আশিক আহমেদকে ডেকে নিয়ে মারধর করেন। পরে হইচই পড়লে অন্যরা আশিককে কক্ষ থেকে বের করে আনেন। পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে এ দুই নেতার মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে আশিক আহমেদ বলেন, মামা ওই দিন দলীয় কার্যালয়ে প্রকাশ্যে আমাকে কিল–ঘুষি মেরেছেন। গায়ের কাপড় ছিঁড়ে ফেলেছেন। এটা দলের সবাই দেখেছেন। তারাই আমাকে রুম থেকে বের করে নিয়ে এসেছেন।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন এবং মেসেজ দেওয়া হলেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি আদেলুর রহমানের।

উল্লেখ্য, আদেলুর রহমানের বোন মেহেজেবুন্নেসা (টুম্পা) আশিকের সৎ মা। আশিকের মায়ের মৃত্যুর অনেক দিন পর ২০১৭ সালে জিয়াউদ্দিন আহমদে বাবলু মেহেজেবুন্নেসাকে বিয়ে করেন। ২০২১ সালের অক্টোবরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান জিয়াউদ্দিন বাবলু।

এএইচআর/এসকেডি