বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ফারুক, বর্তমান সরকারের কলাকুশলীরা একটি নির্বাচনী রোডম্যাপ তৈরি করছেন বলে শোনা যাচ্ছে। এ রোডম্যাপ নির্বাচনী নয়, এটা হচ্ছে কীভাবে কোন পথে বাংলাদেশ থেকে অনির্বাচিত সরকার বিদায় নেবে এবং পালানোর চেষ্টা করবে সেই রোডম্যাপ।

শনিবার (১৪ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা জেলা বিএনপি।

ঢাকা জেলা বিএনপির আন্দোলনেই সরকারের পতন হবে বলেও মনে করেন জয়নুল। তিনি বলেন, ‌‘এ সরকারের বেশি দিন সময় নেই। তারা পালানোর রোডম্যাপ খুঁজছে।’

সরকারের উদ্দেশে জয়নুল আবেদিন বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে অহেতুক চেষ্টা করবেন না। আপনাদের মিথ্যা আশ্বাসে বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘যত চেষ্টা করার করেন। বিএনপিকে ভাঙা যাবে না, কোনো লাভও হবে না। বিএনপি মচকাবে তবু ভাঙবে না। অনির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে- এসব মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে সরকার পতনের আন্দোলন ঠেকানো যাবে না।’

বিএনপির আন্দোলন করতে জানে না- আওয়ামী লীগের নেতাদের এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যারা বিএনপির আন্দোলন দেখেন না, তারা এসে দেখে যান। আন্দোলনের কী দেখেছেন? স্বৈরাচার এরশাদ ৯ বছর রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিলেন, সেই এরশাদ আন্দোলনে ভেসে গেছে। কোনো স্বৈরাচারী টিকতে পারে নাই। এই অনির্বাচিত সরকারও আন্দোলন থামাতে পারবে না, তাদের অল্প কয়েকদিন সময় আছে, তাদের বিদায় নিতে হবে।’

সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে দেশের মানুষের সমস্ত সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করতে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি করছে বলে অভিযোগ করেন জয়নুল আবেদীন।

সরকার খালেদা জিয়াকে বিনা চিকিৎসায় তিলে তিলে মেরে ফেলতে চায় বলে দাবি করে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া এ সরকারের পতন না দেখে মৃত্যুবরণ করবেন না। তিনি আবারো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেবেন। অন্যায়ভাবে মানুষকে বেশি দিন দাবিয়ে রাখা যায় না। যে যত কথাই বলুক এ সরকার আর টিকতে পারবে না। যদি বাঁচতে চান তাহলে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে মানে মানে বিদায় হোন।’

জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপিকে ভাঙনের চেষ্টা চলছে বলে শুনতে পাচ্ছি। তবে আমি বিশ্বাস করি না। তারপরও বলব, যদি কেউ হালুয়া-রুটির লোভে দলের সঙ্গে বেইমানি করে তাদের জায়গা দল ও বাংলাদেশে হবে না।’

ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবুর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশ সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি নিপুণ রায় চৌধুরী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য কপিল উদ্দিন প্রমুখ।

এএইচআর/ওএফ