আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশ অমান্য করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সম্মেলন পেছানোর অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। অভিযোগের বিষয়ে জানার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় কমিটি বর্ধিত করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের হল কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার বিষয়ে ছাত্রলীগ সভাপতির সঙ্গে কথা হয়েছে ঢাকা পোস্টের।

রোববার (১৫ মে) রাতে একান্ত আলাপচারিতায় সম্মেলন পেছানোর অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা। ছাত্রলীগের দ্বিবার্ষিক সম্মেলন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় ওবায়দুল কাদের স্যার মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলোর নেতাদের নেত্রীর (শেখ হাসিনা) সঙ্গে কথা বলে সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করার কথা বলেন। আমরা এ বিষয়ে নেত্রীর সঙ্গে কথা বলতে সময় চেয়েছি। কয়েকদিনের মধ্যেই হয়ত দেখা করতে পারব। আমরা নেত্রীর সঙ্গে সম্মেলনের বিষয়ে কথা বলব। তিনি তারিখ দিলে আমরা সেটা সবাইকে জানিয়ে দেব।

কেন্দ্রীয় কমিটি বর্ধিত করার বিষয়ে জানলে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট। আমাদের এখন আট/নয়টি পদ শূন্য রয়েছে। তার বিপরীতে ২০০-২৫০ জন পদের দাবিদার রয়েছে। সে কারণে আমরা কিছুটা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। তারা যেহেতু দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছে, আমরা তাদের মূল্যায়ন করব। একটি নিয়মের মধ্যে এনে আমরা তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত পদ দেব।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার বিষয়ে জয় বলেন, যারা রাজনীতি করতে চায়, যাদের নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই, তাদের যাচাই-বাছাই করতে হলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই তারা আগ্রহী প্রার্থীদের জীবনবৃত্তান্ত জমা নেবে।

কবে নাগাদ হল কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হবে— এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, নির্ধারিত সময় আমরা দিচ্ছি না। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে হয়ে যাবে।

এএজে/এসএসএইচ