দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে সোমবার (২৩ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপি। সমাবেশে বক্তব্যের সুযোগ না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে সমাবেশস্থল ত্যাগ করেন দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির এক নম্বর সদস্য ইশরাক হোসেন।

যদিও ইশরাকের এমন আচরণে হতাশা প্রকাশ করেন আজকের সমাবেশের সভাপতি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম।

আব্দুস সালাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইশরাক সমাবেশে অংশ নিয়েছেন, তিনি বক্তব্য দেবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সমাবেশে অংশ নেওয়া নেতাদের বক্তব্য দেওয়ার একটা সিরিয়াল তো থাকে। সেই সিরিয়াল অনুযায়ী বক্তব্য দেওয়ার জন্য ইশরাকের নামও ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু তখন তিনি ছিলেন না। তার আগেই সমাবেশস্থল ত্যাগ করেন।

আব্দুস সালাম আরও বলেন, এই রকম সমাবেশে কত ঘটনা ঘটে! এগুলো কোনো ব্যাপার না। সব ঠিক হয়ে যাবে। 

ইশরাক হোসেনের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র দাবি করে, গত কয়েকটি অনুষ্ঠানে তাকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দিতে দলীয় নেতাদের অনীহা দেখা গেছে। আজকে ইশরাক হোসেন সমাবেশের সঞ্চালক আমিনুল ইসলামকে অনুরোধ করেন, সম্পাদক মণ্ডলীর নেতাদের বক্তব্য দেওয়ার আগে তাকে যেন বক্তব্য প্রদানের সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি (আমিনুল ইসলাম) সেটা না করে বলেন, সমাবেশে অংশ নেওয়া অনেককে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। এ জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।

তার এমন বক্তব্যের পর ইশরাক ক্ষিপ্ত হয়ে তার সঙ্গে আসা ২০-২৫ জন নেতাকর্মী নিয়ে সমাবেশস্থল ত্যাগ করে প্রেস ক্লাবের ভেতরে চলে যান। 

যদিও এ সময় উপস্থিত অনেক নেতা তাকে (ইশরাক) অনেকে অনুরোধ করেন সমাবেশ থাকার জন্য। তার সমাবেশস্থল ত্যাগ করার ৫ মিনিট পরে বক্তব্য দেওয়ার জন্য ইশরাকের নাম মাইকে ঘোষণা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম। কিন্তু তিনি সমাবেশস্থলে না থাকায় বক্তব্য দিতে পারেননি।  

সূত্রটি আরও দাবি করে, বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ না দেওয়ায় তিনি (ইশরাক) সমাবেশস্থল ত্যাগ করেছেন বিষয়টি এমন নয়, তার ব্যক্তিগত কাজ থাকায় তিনি চলে যান।  

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে ইশরাক হোসেনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। 

এদিকে ইশরাকের এমন আচরণে বিস্ময় প্রকাশ করে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতা বলেন, ইশরাকের এমন কাণ্ড ছেলেমানুষি এবং আবেগ ছাড়া আর কিছু না। আজকের সমাবেশে কমপক্ষে বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের শতাধিক নেতা ছিলেন যারা প্রত্যেকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পাওয়ার দাবি রাখেন। এখন চাইলে কি সবাইকে বক্তব্য দেওয়া সুযোগ দেওয়া যাবে? সবাইকে যদি বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে আজকে রাতেও সমাবেশ শেষ করা যেত না।   

এএইচআর/এসকেডি