যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, বর্তমান সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণের পরিকল্পিত নীলনকশা বাস্তবায়ন চলছে। এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে যাতে সাধারণ মানুষ সরকারের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলে। আর এই নীলনকশা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে এক এগারোর কুশলীরা।

সোমবার (৩০ মে) দুপুরের দিকে চট্টগ্রামের একটি কনভেনশন সেন্টারে চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সুশীল সমাজের একটি অংশ এখনো জনগণকে বিভ্রান্ত করতে তৎপর। ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবদের মাঠে নামানোর একটি পরিকল্পিত প্রয়াস চলছে। আরও লক্ষণীয় যে, জাতীয় সরকারের তত্ত্ব মাঠে হাজিরের সঙ্গে সঙ্গে কিছু ব্যক্তি সরব হয়েছে। যারা এক এগারোর সঙ্গে নানাভাবে যুক্ত এবং অনির্বাচিত সরকারের সুবিধাভোগী।

শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, কিছু কিছু গণমাধ্যম দেখবেন বিরোধী দলের ভূমিকায় নেমেছে। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকারের সমালোচনা করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ওই সমালোচনা যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয় তাহলে সমালোচনা করার অধিকার জনগণেরও রয়েছে।

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, সরকার ব্যর্থ এটা প্রমাণ করতে মরিয়া একটি মহল। তবে কোনো মুখের কথায় মানুষ বিভ্রান্ত হয় না। এ সমাজে কিছু মানুষ আছে যারা সুযোগসন্ধানী। তারা সবসময় আর্থিকভাবে লাভবান হতে চায়। দেশকে অস্থির করতে পারলেই তাদের পোয়াবারো। এদের কারণে গণতান্ত্রিক সরকার সংকটে পড়ে। অগণতান্ত্রিক শক্তিগুলো ডালপালা মেলে। এরা এখনও মাঠে সক্রিয়।

পরশ বলেন, বাংলাদেশের কিছু উন্নয়ন সহযোগী আছে, যারা দেশের শক্তিশালী সরকার চায় না। ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এদের অস্তিত্ব সংকটে ফেলে। রাজনীতিবিদদের ছেড়ে তারা সুশীল বুদ্ধিজীবীদের পক্ষে মন খোলে কথা বলতে পছন্দ করে। বাংলাদেশর উন্নয়ন নয় বরং এ দেশের বাজার দখলই তাদের প্রধান স্বার্থ। মুখে ওরা  গণতন্ত্র, সুশাসন, মানবাধিকারের কথা বলে।  কিন্তু বাস্তবে এসব বিরোধী শক্তির সঙ্গেই গোপন সখ্য গড়ে তুলে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে৷ তিনিই ন্যায়ের মূর্তমান প্রতীক। ২০৪১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। ২০২৩ সালে আবারও শেখ হাসিনা সরকারকে ক্ষমতায় আনতে পরিশ্রম করতে হবে।

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, চট্টগ্রামে মহানগরের সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ। সম্মেলনে শুধু নতুন নেতা নির্বাচন করব না,এর মাধ্যমে যুবলীগের রাজনীতিতে একটা নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। চট্টগ্রামের মাটি রাজনৈতিকভাবে উর্বর। তারপরও জাতীয় নির্বাচনে চট্টগ্রামে সবসময় আশানুরূপ ফলাফল পাই না। এই অবস্থা পরিবর্তন হবে আজকের এই সম্মেলনের মাধ্যমে।

কেএম/এসকেডি