বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের এজেন্ট হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, তিনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নন। তিনি মুক্তিযুদ্ধ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত যেসব কার্যকলাপ চালিয়েছেন তাতে পরিষ্কার যে জিয়াউর রহমান আইএসআইয়ের এজেন্ট হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

শুক্রবার (৩ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপির জন্মই আইএসআইয়ের প্রেসক্রিপশনে উল্লেখ করে কামরুল ইসলাম বলেন, এই দলটি কোনো দিনই গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করতে পারে না। সেনা ছাউনিতে যে দলের জন্ম সেই দলটি কোনো অবস্থায় গণতন্ত্র বিশ্বাস করতে পারে না, গণতন্ত্রের পক্ষে থাকতে পারে না। 

তিনি আরও বলেন, আজ তারা যে স্বাভাবিক কর্মসূচি চালানোর চেষ্টা করে এটা তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে প্রবেশের একটা মহড়া। আজ তারা স্লোগান দিচ্ছে ‘৭৫ এর হাতিয়ার গর্জে ওঠো আরেকবার’ তাদের যে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, তারা ক্রমান্বয়ে সন্ত্রাসের দিকে যাবে সেই পুরানো কায়দায়। তার একটা মহড়া এখন দিচ্ছে। সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে এবং দাঁত ভাঙা জবাব দিতে হবে।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, যে অপশক্তি ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বিদেশে থাকায় বেঁচে গেছেন। সেই অপশক্তি তাদের দুজনকে মেরে ফেলতে অনেকগুলো বছর ধরে চেষ্টা করছে। সেই অপশক্তি আবারও নির্বাচনকে সামনে রেখে বিশেষ করে আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে সামনে রেখে অপতৎপরতা জোরদার করছে। তারা এমন সব আস্ফালন করছে যা পৃথিবীর কোনো রাজনীতিতে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, আজ তাদের দুঃসাহস তারা আরেকটি ৭৫ ঘটাতে চায়। তারা ৭৫ এর হাতিয়ারকে আবার গর্জে ওঠতে বলে। এই ৭৫ শুধু বাংলাদেশে নয় সারা পৃথিবীর রাজনীতিতে এক নিকৃষ্টতম ঘটনা, সবচাইতে শোকাবহ ঘটনা।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সেই অপশক্তি জনগণের রায় নিয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দেশ পরিচালনায় বিশ্বাস করে না। তারা সব সময় ষড়যন্ত্র করে, অত্যাচার নির্যাতনের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চেয়েছে। আজকে সেই অপশক্তি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। 

এএইচআর/এসকেডি