সরকারের দুর্নীতির কারণেই গ্যাসের দাম বৃদ্ধি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, গ্যাসের দাম বেড়েছে কেন? দাম বেড়েছে সরকারের দুর্নীতির কারণে।

সোমবার (৬ জুন) দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রথম কারণ সরকারের মিস ম্যানেজমেন্ট, অযোগ্যতা ও ব্যর্থতা। দ্বিতীয় গ্যাস আমদানিতে সরকারের লোকেরাই জড়িত। তারা গ্যাস আমদানি করছে, বিক্রি করছে। গ্যাসের দাম বাড়িয়ে তারা জনগণের পকেট কাটছে। 

গ্যাসের দাম বৃদ্ধি সংক্রান্ত এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা কালও বলেছি। কে কার কথা শোনে? আজ আবার বলছি, গ্যাসের দামে আগের জায়গায় ফিরে যেতে হবে। পানি, গ্যাস, বিদ্যুতের মূল্য জনগণের সহনশীলতার মধ্যে রাখার আবেদন জানাচ্ছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ফলে শিল্প-কলকারখানায় উৎপাদিত প্রতিটি পণ্যের মূল্য আবার বাড়বে। এমনিতেই মূল্যস্ফীতি নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ। অর্থনীতিবিদরা বলছেন যে, এটি মেজর ক্রাইসিস। এটি যদি হ্যান্ডেল না করা যায়, তাহলে সামনে বিপদ। সিপিডিও একই কথা বলেছে। তারপরও সরকার চিন্তা করল না, গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দিল।

তিনি আরও বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে প্রতিদিন মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। একটি বনরুটি খেতেও একজন রিকশাওয়ালার ১৫ টাকা লাগে। তার সঙ্গে এক কাপ চা। মানে কমপক্ষে ২৫ টাকা লেগে যায়। এটি তারা (সরকার) বুঝতে চায় না।

সরকার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বাস করে- মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১৫ বছর ধরে তারা ক্ষমতায়, সুখময় জীবন-যাপন করছে। সাধারণ মানুষের কষ্ট তারা বুঝতে চায় না। দুপুরে রোদের মধ্যে তারা সাধারণ মানুষের সঙ্গে গাছতলায় গিয়ে দোকানে চা-বনরুটি খেয়ে দেখুক অবস্থা কী দাঁড়ায়। 

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) পাইপলাইনে সরবরাহ করা প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের পাইকারি দাম ৯টা ৭০ পয়সা থেকে ২২ দশমিক ৭৮ শতাংশ বাড়িয়ে ১১ টাকা ৯১ পয়সা করেছে, যা চলতি জুন মাস থেকেই কার্য্কর হবে। রান্নার গ্যাসের জন্য দুই চুলার মাসিক বিল ৯৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০৮০ টাকা, এক চুলার মাসিক বিল ৯২৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৯০ টাকা করা হয়েছে।

এএইচআর/আরএইচ