বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘পদ্মা সেতু হলো সরকারের একটি ভেল্কিবাজি। এ সেতু উদ্বোধনে ভারতীয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী আসবে-নাচবে, তার জন্য ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার। অন্যদিকে দেশে লাখো মানুষ পানির নিচে ডুবে আছে তাদের জন্য জনপ্রতি দেড় টাকা বরাদ্দ দিয়েছে এই ব্যর্থ সরকার।

রিজভী বলেন, সরকার প্রচার করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিচ্ছে, আসলে দেশের কোথায়ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন নেই। বিদ্যুৎ দিতে ব্যর্থ হয়ে এখন বলছে রাত ৮টার পর কোনো দোকান খোলা রাখা যাবে না। এটা জনগণের সঙ্গে এক ধরনের প্রতারণা। 

সোমবার (২০ জুন) বেলা ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার স্বার্থে অবিলম্বে বিদেশে প্রেরণ এবং বন্যা দুর্গত অঞ্চলে পর্যাপ্ত সহায়তা পৌঁছানোর দাবিতে গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত প্রতিকী অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির সিনিয়র এ নেতা আরও বলেন, এই বন্যার জন্য দায়ী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের নেতাকর্মীরা। হাওরে বাঁধ দিয়ে আজ ইচ্ছাকৃতভাবে বন্যা তৈরি করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জের হাওরে রাষ্ট্রের একজন প্রধান কর্তাব্যক্তির নামে সেই বাঁধ। তার স্বজনরা অপরিকল্পিতভাবে হাওরের মধ্য দিয়ে রাস্তা ও বাঁধ দিয়ে রেখেছে।

বানভাসি মানুষ খাবারের জন্য হাহাকার করছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘একদিকে মানুষের বাঁচার লড়াই আর অন্যদিকে সরকার আনন্দে মেতে আছে এক ভেল্কিবাজির পদ্মা সেতু নিয়ে। দেশের মানুষ মারা যাচ্ছে আর প্রধানমন্ত্রী ঝাড়বাতির আলোয় নাচনেওয়ালির নাচ দেখে সেতু উদ্বোধন করবেন। অন্যদিকে, দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় নেত্রীকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিচ্ছে না এই অবৈধ সরকার।’

তিনি বলেন, ‘দেশে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে, নিত্যপ্রয়োজনী দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এ পরিস্থিতির জন্য দায়ী প্রধানমন্ত্রী আপনি নিজে।’

গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি খলিলুর রহমান ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সমন্বয়ক ইসমাঈল হোসেন সিরাজী।

প্রতীকী অবস্থানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, সাবেক এমপি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বিলকিছ ইসলাম, ওলামা দলের আহ্বায়ক পীরজাদা মাওলানা নেছারুল হক, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রাজিয়া আলিম প্রমুখ।

এসএম