আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম বলেছেন, মায়াকান্না দেখিয়ে স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছে পদ্মা সেতুর অর্থ বরাদ্দ বন্ধে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে বিএনপি জড়িত ছিল। 

বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টাদশ অধিবেশনে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

কামরুল ইসলাম বলেন, ড. ইউনূস যে ষড়যন্ত্র করেছিলেন তার সঙ্গে যে বিএনপি জড়িত তা বুঝা যায়। গতকাল (বুধবার) যখন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাদের দাওয়াত দিতে যাওয়া হয়, তখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়ার জেল এবং ড. ইউনূস সম্পর্কে কথা বলেন। এ অবস্থায় তারা পদ্মা সেতুর অনুষ্ঠানে যাবেন না বলেও জানান।

ইউনূসের জন্য তাদের এত মায়াকান্না কেন জানতে চেয়ে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার প্রতি মায়াকান্না থাকতে পারে, তবে ইউনূসের প্রতি মায়াকান্না দেখিয়ে তারা যা বলেছে, তাতে স্পষ্ট বুঝা যায় ড. ইউনূসের সঙ্গে তারাও পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছেন।

সরকার গণতান্ত্রিক স্পেস দেয় না বিএনপির এমন দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আমরা আওয়ামী লীগ অফিসের ফুটপাতেও দাঁড়াতে পারিনি। আমাদের প্রয়াত নাসিম ভাই ও সাহারা আপাকে রাস্তায় পিটিয়েছে তাদের বাহিনী। কিন্তু আজকে তারা মিটিং, মিছিল করছে। কোন বাধা নেই।

তিনি বলেন, আজকে সবাই বলেন জিয়াউর রহমান আইএসআইয়ের এজেন্ট হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। আমি ২০১০ সালেই বলেছিলাম পাকিস্তানি এজেন্ট হিসাবে অনুপ্রবেশকারী হিসাবে মুক্তিযুদ্ধে প্রবেশ করেছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নন। পাকিস্তানের সঙ্গে একটা আঁতাত হয়েছিল তার। আমি যুদ্ধে আছি, স্ত্রী (খালেদা জিয়া) তোমাদের কাছে আছে। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে তার মুখোশ উন্মোচন হয়েছে।

এইউএ/এসকেডি