দেশের ১১৬ জন আলেমের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দেওয়া গণতদন্ত কমিশনের টাকার উৎস জানতে চান জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ। 

রোববার একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টাদশ অধিবেশনে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ তথ্য জানতে চান। 

কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, কোনো সাংগঠনিক ভিত্তি নেই, সাংবিধানিক ভিত্তি নেই গণতদন্ত কমিশনের নামে এক সংগঠন ২২শ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন দাখিল করল ১১৬ জন আলেমের নামে। তাদের কী আছে? তাদের কি ঢাকা শহরে কোনো বাড়িঘর আছে? ধানমন্ডি, গুলশান, বনানী, বারিধারা কোথায় তাদের বাড়ি? লাখ লাখ, হাজার হাজার কোটি টাকা তারা কোথায় পাচার করেছেন? মানি লন্ডারিং মামলা তাদের বিরুদ্ধে কেন হবে? 

তিনি বলেন, এই যে খোঁচা দেয়, সামনে আমাদের নির্বাচন। এদের (গণকমিশন) পেছনে কি লোক আছে? এদের পেছনে কি ভোট আছে? এরা ২২শ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন করলো। সারাদেশে ঘুরল এই করোনার মধ্যে। এ টাকাটা তারা কোথায় পেল? এ টাকার উৎস কোথায়? আমরা তা জানতে চাই সংসদে। 

এ সংসদ সদস্য বলেন, পদ্মা সেতু আমাদের কাছে হীরকের চেয়েও বেশি মূল্যবান। এই পদ্মা সেতুতে বছরে প্রায় ৫শ কোটি টাকা টোল আদায় হবে। টাকা আদায়ের উৎস হিসেবে পদ্মা সেতু তৈরি হয়নি। জনগণের অর্থে, জনগণের কল্যাণের জন্য, জনগণের স্বার্থে পদ্মার ওপারের ৩ কোটি মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য এই পদ্মা সেতু প্রধানমন্ত্রী আমাদের উপহার দিয়েছেন। 

তিনি বলেন, বাজেট পড়ে বলা যায় সুখে থাকা মানুষগুলো বোঝে না গরীবের দুঃখ-কষ্ট কী; স্বপ্ন দেখা মানুষগুলো বোঝে না বাস্তবতা কত নির্মম, কত কঠিন। অর্থমন্ত্রী অত্যন্ত বিচক্ষণ ব্যক্তি। একজন স্বনামধন্য চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। প্রথম শ্রেণীর ধনাঢ্য শিল্পপতি। সর্বোপরি উনি বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী। যেকোনো জটিল হিসাব তার জন্য মিলিয়ে দেওয়া অত্যন্ত সহজ। এ বাজেটেই তার প্রতিফলন আমরা দেখলাম। অর্থমন্ত্রী এ বাজেটে তেল আর জল এমন সূক্ষ্ম ভাবে মিশিয়েছেন যে, তা আর আলাদা করা সম্ভব নয়। ধনীদের চেহারা সামনে রেখে তিনি এই বাজেট প্রণয়ন করেছেন। ওই সময় মনে হয় ওনার কাছে গরীবের অঙ্কটা একদমই ছিল না।

এইউএ/আরএইচ