দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। একইসঙ্গে সংকট থেকে উত্তরণে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি জানান। মান্না বলেন, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। তার ওপর লোডশেডিংয়ের কারণে জীবনযাত্রা ও উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ডলারের দাম একশ ছুঁইছুঁই। ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স আসার সম্ভাবনা বাড়ছে। কমে গেছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।

ডাকসুর সাবকে এ ভিপি বলেন,  বিশেষজ্ঞরা রপ্তানি আয় কমে যাওয়ার আশঙ্কার কথা বলছেন। অন্যদিকে গত এক বছরে আমদানি ব্যয় বেড়েছে লাগামহীনভাবে। সরকার ও সরকারি দল সংশ্লিষ্ট প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের আড়ালে ওভার ইনভয়েসিং এবং আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। গত এক বছরে বাণিজ্য ঘাটতি প্রায় ৩১ বিলিয়ন ডলার যা দেশের বর্তমান রিজার্ভের প্রায় সমান। অর্থাৎ এভাবে চললে আগামী এক বছরে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শূন্য হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, দখলদার স্বৈরাচার সরকার এখনো উন্নয়নের ডামাডোল বাজাচ্ছে। সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য এখন আর এ দেশের জনগণ বিশ্বাস করে না। তবে বর্তমানে সরকারি হিসাবেই দেশের অর্থনীতি চরম সংকটকাল অতিক্রম করছে। শ্রীলঙ্কার মত পরিস্থিতি হতে পারে বলে সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রীরাও আশঙ্কার কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করছেন।

মান্না বলেন, সরকার এ ভয়াবহ সংকট তৈরি করেছে। তাদেরই এ পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে। আমি অনতিবিলম্বে এ সংকট উত্তরণে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাই। অন্যথায় উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সরকারকেই সম্পূর্ণ দায় নিতে হবে।

এএইচআর/আরএইচ