গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেছেন, আওয়ামী লীগকে একবার ভোট দেওয়া যায়। বারবার ভুল করা যাবে না। আওয়ামী লীগের মতো একটা ক্রিমিনাল দল যেন আর ক্ষমতায় আসতে না পারে আমরা সেই ব্যবস্থা করব। আগে ক্ষমতাচ্যুত ছিল ২৫ বছর। এবারের পর তারা ১২৫ বছরের মধ্যে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। 

তিনি বলেন, আমরা একটি শ্বেতপত্র দেব তারা কীভাবে কত মানুষকে গুম খুন হত্যা ও নির্যাতন করেছে। তারা এখনো ২ হাজার আলেমকে জেলখানায় নির্যাতন করছে। আমরা এমন একটা দেশ গঠন করব যেটিকে নিয়ে সবাই গর্ব করবে। যেখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না।

শুক্রবার (১২ আগস্ট) দুপুর ৩ টায় সারাদেশে লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনাসহ ৫ দফা দাবিতে গণপরিষদ আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। 

রেজা কিবরিয়া বলেন, সরকার সবখানেই ষড়যন্ত্র করে কিন্তু আমরা প্রকাশ্যে বলছি, আমরা এ সরকারের পতনের জন্য কাজ করছি। এ সরকারকে রাখলে শুধু সারাদেশের মানুষ বিপদে পড়বে। আর সময় নেই এই সরকারকে সরাতে হবে। আপনারা যদি ভাবেন আরও ৬ মাস, এক বছর রাখলে ক্ষতি কী? অনেক বড় বিপদ হবে। ১৪ বছর ধরে অদক্ষতা ও দুর্নীতি করে দেশের অনেক ক্ষতি করেছে। দেশ শ্রীলঙ্কার মতো অবস্থা হতে আর বেশি দিন বাকি নেই। সে রকম যদি হয়ে যায় তাহলে এই অবস্থা থেকে উত্তরণে ১৫-২০ বছর সময় লাগবে। তারা আইএমএফের ঋণ নিয়ে মিথ্যা কথা বলে, অবশ্য মিথ্যা কথা বলা মন্ত্রীদের অভ্যাস। 

তিনি আরও বলেন, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, সরকার জানতে চায়নি কারা টাকা পাচার করেছে। আসলে নামগুলো প্রকাশ পেলে তারাই বিপদে পড়ে যাবে। এই সরকার দেশটাকে কঠিন বিপদে ফেলে দিয়েছে। আমি মনে করি, কয়েক মাসের মধ্যে সরকার পদত্যাগ করে সরে না গেলে আমরা কঠিন বিপদ থেকে বাঁচতে পারব না। 

রেজা কিবরিয়া বলেন, রিজার্ভের অবস্থা খুব খারাপ। এক রাতেই রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলার থেকে ৩১ বিলিয়ন ডলার হয়ে গেছে। এরা এখন আইএমএফকে ডাকাডাকি করছে। এটা খুশির খবর নয়। দেশের মানুষের দুর্ভোগ আরও দশ গুণ বাড়বে সামনের বছর। উন্নয়নের নামে যে চুরি করেছে সেই বাড়তি ঋণও জনগণকে পরিশোধ করতে হবে। এই টাইম বোমা সরকার রেখে যাচ্ছে। 

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটা অভিশাপ দেশের মানুষের জন্য। কেন মানুষ এই অভিশাপকে সহ্য করেছে মানুষ আমি জানি না। হয়ত নেতৃত্বের অভাব। এদের উৎখাতে নুরুল হক নুর ও গণঅধিকার পরিষদের নেতৃত্বে আপনাদের উদ্ধার করা হবে। 

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর, রাশেদ খান, ফারুক হাসান, তারেক রহমান প্রমুখ। 

আইবি/এসকেডি