গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘বিনা অপরাধে খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে। তিনি টাকা চুরি করেননি, এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্ট নেওয়াই তার অপরাধ। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনুন। তাকে মুক্ত করতে পারলে সরকারের পতন ঘটাতে ৩ মাসও সময় লাগবে না।’

ইভিএমকে প্রতারণার আরেকটি পদ্ধতি মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন। তার ভয় যদি ওই মসনদ থেকে তাকে সরে যেতে হয়, তাহলে কী অবস্থা হবে।’

বুধবার (১৭ আগস্ট) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে জনতার অধিকার পার্টির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জনতার অধিকার পার্টির চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। 

তিনি বলেন, দেশে ১৮ কোটি মানুষ। সরকারের কলমের এক খোঁচায় তা সাড়ে ১৬ কোটি হয়ে গেল। আমাকেও আদমশুমারিতে ধরেনি। আমার বাড়িতে আদমশুমারি যায়নি। এসবের জন্য দরকার সরকার পরিবর্তন, সুশাসন ও সুষ্ঠু নির্বাচন। সুশাসন ও সুষ্ঠু নির্বাচনে নেতৃত্ব দিতে পারবে মাহমুদুর রহমান মান্না। 

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বিরোধীদল আজ জেগেছে, প্রধানমন্ত্রী চা খাওয়ার দাওয়াত দিলেন আর পরের দিনই ভোলায় কর্মী হত্যা। আসলে প্রধানমন্ত্রীর হাতে কোনো ক্ষমতা নেই, ক্ষমতার চাবিকাঠি অন্য জায়গায়। সবাই আজ ভীত-সন্ত্রস্ত। পুলিশ যেখানে লাঠিচার্জ করার কথা সেখানে গুলি করছে, ফলে কেউই আজ নিয়মের তোয়াক্কা করছে না। পুলিশরা কখন কাপড় খুলে পালাবে সেই চিন্তায় আছে। ফলে তারা এখানে সেখানে গুলি চালাচ্ছে নিয়মের তোয়াক্কা করছে না। এসব সমস্যার সমাধান হবে বিরোধী দলের দাবি মেনে নিলে যে এই সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। 

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে নির্বাচনের তিন মাস আগে জামিন দিন। তাকে হাত নাড়ার সুযোগ দিন। তারপরে দেখবেন দেশে কী হচ্ছে। তবে আপনার প্রতিও কোনো অবিচার করা হবে না। সেদিনও আমি আপনার পাশে থাকব। 

তিনি বলেন, সরকারের পতন হলে ওষুধের দাম অর্ধেকে নেমে আসবে। যেটি আমরা ১৯৮২ সালে করে দেখেয়েছি। একেকটা ওষুধ কোম্পানি কিছু ডাক্তারকে ৫০০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিয়ে বেড়ায় তার ক্ষতি বহন করতে হয় জনগণকে। মাহমুদুর রহমান মান্নাদের হাতে শাসনভার দিলে দেশে সুশাসন আসবে। তাদের কাছে কিছু বলা যাবে। 

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী সমুদ্র জয় করেছেন কিন্তু এটার এক্সপ্লোর করেননি। বাপেক্সকে দিয়ে তেল গ্যাস উত্তোলন করাননি। কারণ তিনি সবসময় ভীত জীবন নিয়ে। ‘র’ তাকে বুঝিয়েছে বঙ্গবন্ধু যদি আমাদের সঙ্গে থাকতেন তাহলে তিনি মারা যেতেন না। ফলে দেশে এই জ্বালানি সংকট। নেপাল ও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ ব্যবহারের করিডোরটি ভারত ব্যবহার করতে দেয়নি। সেই ভারত নাকি আমাদের মহা বন্ধু। জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করলে এই সংকট হতো না। জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ হয় তিন টাকা আর গ্যাসের উৎপাদন খরচ হয় ৩০ টাকা। 

গণস্বাস্থ্যের এ ট্রাস্টি আরও বলেন, পরিবেশের কথা বলে আমরা দেশের কয়লা ব্যবহার করছি না। কেন করছি না কারণ ভারতের কয়লা আসতে হবে, ভারতের রামপাল ব্যবহার করতে হবে। সেটাই কাল হবে। 

আইবি/এসএম